লা লিগায় শনিবার রাতে নাটকীয় ম্যাচে বার্সেলোনা ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকেও সেল্টা ভিগোর সাথে ৩-৩ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। অপর ম্যাচে রায়ো ভায়োকানোকে ২-১ গোলে পরাজিত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এ জয়ে রিয়ালসোসিয়েদাদের থেকে দুই পয়েন্ট এগিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।

সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচ শেষে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেছেন, ‘ম্যাচে আমরা বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু তারা যখন এক গোল পরিশোধ করে আমরা বেশ চাপে পড়েছিলাম। ওই গোলের আগ পর্যন্ত মৌসুমে এটা আমাদের সেরা পারফরমেন্স ছিল।’

এদিকে, আরো একটি হতাশাজনক ফলাফলে বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা এটুকু অন্তত প্রমাণ করেছে যে এ দলকে টেনে তুলতে হলে জাভিকে কি পরিমাণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। তবে পয়েন্ট হারানোর থেকে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়ে বিরতির পর আনসু ফাতির মাঠত্যাগ বেশি দুঃশ্চিন্তায় ফেলেছে কাতালান জায়ান্টদের।

বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বিরতির পরপরই বেনফিকার বিপক্ষে আগামী ২৩ নভেম্বর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচকে সামনে রেখে ফাতির দলে থাকাটা জরুরী। কাফ পেশীর ইনজুরিতে পড়ে এরিক গার্সিয়াও মাঠ ছেড়েছেন। নিকো গঞ্জালেজ ৫৯ মিনিটে বদলী বেঞ্চে যাবার আগে খুব একটা স্বস্তিবোধ করছিলেন না।

ফাতি, সার্জিও বাসুকয়েটস ও মেমফিস ডিপের গোলে ৩৪ মিনিটের মধ্যেই বার্সেলোনা ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ইয়াগো আসপাসের দুই গোলের মাঝে নোলিতোর হেডে সেল্টা দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে।

বার্সেলোনা মিডফিল্ডার ফ্রেংকি ডি জং বলেছেন, ‘দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভুলে গিয়েছিলাম কিভাবে ফুটবল খেলতে হয়। আমাদের মধ্যে ব্যক্তিত্বের অভাব ছিল।’

ইনজুরি টাইমের ষষ্ঠ মিনিটে আসপাসের দুর্দান্ত শটে সেল্টা যখন সমতা ফেরায় তখন ম্যাচ শেষ হতে আর মাত্র ৩৪ সেকেন্ড বাকি ছিল।

একের পর এক ব্যর্থতায় নিমজ্জিত এ দলটির আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা এখন জাভির দায়িত্ব। ৪১ বছর বয়সী জাভি দোহা থেকে ম্যাচ শুরুর মাত্র তিন ঘন্টা আগে বার্সেলোনায় এসে পৌঁছান।

অন্তবর্তীকালীন কোচ হিসেবে শনিবার শেষ ম্যাচে দায়িত্ব পালন করা সার্জি বারুয়ান বলেছেন, ‘ইনজুরির কোন ব্যাখ্যা নেই। কিন্তু এর অর্থ হচ্ছে আমাদের পুরো পরিকল্পনা পাল্টে ফেলতে হয়েছে। লাইন-আপের দিকে থাকালে দেখা যাবে আমাদের এখন মূল ভরসা তরুণদের ওপর। এদের নিয়েই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

এ মুহূর্তে ফাতির অনুপস্থিতি বার্সেলোনার জন্য অনেক বড় একটি দুঃসংবাদ। এ ম্যাচের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ছিলেন ১৯ বছর বয়সী এ স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। পাঁচ মিনিটে সেল্টা রাইট-ব্যাক হুগো মালোকে পরাস্ত করে বাম দিক থেকে বল জালে জড়িয়ে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন ফাতি।

এর তিন মিনিট পর নিকোর এসিস্টে বাসকুয়েটস পেনাল্টি এরিয়ার মধ্য থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেণ। ৩৪ মিনিটে জোর্দি আলবার ক্রস থেকে ডিপের হেডে ব্যবধান বাড়ে।

দ্বিতীয়ার্ধে একসাথে ফাতি ও গার্সিয়াকে বদলী বেঞ্চে পাঠাতে বাধ্য জন কাতালান কোচ। আর এ সুযোগে পুরো অন্য চেহারায় মাঠে আবির্ভূত হয় সেল্টা। ৫২ মিনিটে ফ্র্যাংসকো সার্ভিও ক্রস ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগান। এ সুযোগে আসপাস সেল্টার হয়ে প্রথম গোলটি করেন। ৭৪ মিনিটে সার্ভির ক্রস থেকে নোলিতোর হেডে সেল্টা ম্যাচে ফিরে আসার ইঙ্গিত দেয়। ইনজুরি টাইমে আসপাস দলকে দারুন এক পয়েন্ট উপহার দিতে কোন ভুল করেননি।