নিজস্ব প্রতিবেদক : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৩:৪৮:২৯
টাইব্রেকারের পঞ্চম শটে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ডেসিয়েল গোল করতেই আনন্দে মেতে উঠল বসুন্ধরা কিংস। অন্যদিকে আবাহনী ডুবে গেল হতাশায়। ফেডারেশন কাপের এক সপ্তাহের বিরল ফাইনাল শেষ হলো এভাবেই! সৌজন্যে: প্রথম আলো
ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে আজ ১৫ মিনিটের ফাইনাল জিতেছে ১০ জনের কিংসই, টাইব্রেকারে আবাহনীকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে ধরে রেখেছে তারা ফেডারেশন কাপের শিরোপা।
ফেডারেশন কাপের এই ফাইনাল মাঠে গড়িয়েছিল গত মঙ্গলবার। সেদিন ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে ফাইনালে দেখেছে নানা ঘটনা। কালবৈশাখীর কারণে খেলা বন্ধ ছিল ঘণ্টাখানেক। পরবর্তী সময়ে আলো কমে আসায় অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের পর ম্যাচ বন্ধ হয়ে যায়। ম্যাচে তখন ১-১ সমতা। ফয়সাল আহমেদ ফাহিম লাল কার্ড দেখায় কিংস ১০ জনের দলে পরিণত হয় ১০২ মিনিটে।
সেই অসমাপ্ত ফাইনালের বাকি ১৫ মিনিট আজ হয়েছে একই মাঠে। তাতে ১০ জনের দল নিয়েও আবাহনীকে আটকে ম্যাচ টাইব্রেকারে নিয়ে গেছে কিংস। সেখানে নায়কের নাম মেহেদি হাসান শ্রাবণ। কিংস গোলকিপার আটকে দিয়েছেন আবাহনীর একটি শট। অন্যদিকে কিংস ৫ শটেই গোল করেছে। জোনাথন ফার্নান্দেজ, মোরছালিন, তপু বর্মণ, ইনসান ও ডেসিয়েল পাঁচে পাঁচ করায় কিংসই ঘরে তুলতে পেরেছে শিরোপা।
আবাহনীর প্রথম শটে গোল করেন রাফায়েল আগস্তো। এমেকার নেওয়া দ্বিতীয় শট আটকে দেন কিংস গোলকিপার মেহেদি হাসান শ্রাবণ। সেই শট আটকে তিনি এমিলিয়ানো মার্তিনেজের মতো নেচে উদ্যাপন করেন। আবাহনীর তৃতীয় শটে সবুজ গোল করেন। মিরাজুলের চতুর্থ শট শ্রাবণ আটকালেও শটটি আবার নিতে বলেন রেফারি। মিরাজুল তাতে গোল করেন। কিন্তু কিংস ৫ শটেই গোল করায় আবাহনীর আর পঞ্চম শট নিতে হয়নি।
গত সপ্তাহের ১০৫ মিনিটে রেফারি সায়মন হাসান ১১টি হলুদ কার্ড আর একটি লাল কার্ড দেখান। আজ বাকি ১৫ মিনিটের শুরুই হয়েছে হলুদ কার্ড দিয়ে। কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা। পরপরই কার্ড দেখেন আবাহনীর অধিনায়ক মোহাম্মদ হৃদয়।
বসুন্ধরা কিংসের এটি চতুর্থ ফেডারেশন কাপ শিরোপা। ১৯৮০ সালে শুরু হওয়া ফেডারেশন কাপ এর আগে সর্বোচ্চ ১২ বার জিতেছে আবাহনী।
দুই দলের এটি তৃতীয় ফাইনাল। আগের দুই ফাইনালেই জিতেছে আবাহনী। ২০১৮ সালে ফেডারেশন কাপ ও ২০২১ সালে স্বাধীনতা কাপে। এই প্রথম আবাহনীকে কোনো ফাইনালে হারাল কিংস।
Rent for add