কাড়াকাড়ির পর নিলামে বাফুফে একাডেমির ফুটবলাররা

মাত্র দুই বছর আগে যাত্রা করা বাফুফের এলিট একাডেমির ১৫ থেকে ২০ জন ফুটবলার নিয়ে রীতিমত কাড়াকাড়ি শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের তিন ক্লাব মোহামেডান, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ও ব্রাদার্সের মধ্যে। -জাগোনিউজ 

খেলোয়াড়দের যে মূল্য দিতে চেয়েছিল ক্লাবগুলো, তার পরিমাণ প্রায় কাছাকাছি। যে কারণে বাফুফে কোনো ক্লাবকেই খেলোয়াড় না দিয়ে নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আজ (শুক্রবার) বাফুফের ডেভেলপমেন্ট কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভা শেষে কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফের সহসভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক জানিয়েছেন, ‘তিনটি ক্লাব আমাদের কাছে কয়েকজন ফুটবলার চেয়েছিল। কিন্তু আমরা কাকে রেখে কাকে দেবো? তাই উম্মুক্ত নিলামে যাচ্ছি। সেই নিলামে যে কোনো ক্লাবই অংশ নিতে পারবে। ফুটবলারদের মূল্য যে ক্লাব বেশি বলবে তারাই পাবে।’

দেশের ফুটবলে নিলামে খেলোয়াড় কেনাবেচার ঘটনা প্রথম হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে দিয়ে নতুন এক দিগন্ত উন্মোচন হতে যাচ্ছে দেশের ফুটবলে।

সাধারণত ক্লাবগুলো একাডেমির মাধ্যমে খেলোয়াড় তৈরি করলেও বাংলাদেশে হলো তার উল্টো। এখানে ক্লাবগুলো কাড়িকাড়ি অর্থ ব্যয় করে ফুটবলার কিনলেও নিজেরা একাডেমির মাধ্যমে খেলোয়াড় তৈরি করে না।

আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নিলামের ব্যবস্থা করবে ফেডারেশন। এই নিলাম হবে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেল্টালে। হোটেলটির সঙ্গে বাফুফের চুক্তি রয়েছে। যে কারণে সেখানে নিলামের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাফুফের ওই কর্মকর্তা।

নিলামের সিদ্ধান্ত হলেও এখন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়নি। কোন খেলোয়াড়ের ভিত্তিমূল্য কত হবে, নিলামের পর ওঠা দামের কতভাগ খেলোয়াড় পাবেন আর কতভাগ বাফুফের ভাণ্ডারে যোগ হবে তাও ঠিকঠাক হয়নি। আগামী কিছুদিনের মধ্যে এই খুঁটিনাটি বিষয়গুলো চূড়ান্ত করে বাফুফে নিলামের তারিখ ও সময় ঘোষণা করবে।

করোনার পরপরই বাফুফে এই একাডেমি চালু করেছে কমলাপুর স্টেডিয়ামে। শেষ হওয়া মৌসুমেও একজন খেলোয়াড় তখন মোহামেডানের কাছে ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করেছিল বাফুফে।

মিরাজুল ইসলাম নামের এ ফরোয়ার্ডের কাছ থেকে মোহামেডান অবশ্য ভালো সার্ভিস পায়নি চুক্তির শর্তের কারণে। বাফুফের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টের জন্য খেলোয়াড় ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল মোহামেডান। এবার অবশ্য চুক্তির শর্ত পরিবর্তন করেই ক্লাবগুলো ফুটবলার কিনবে বাফুফের কাছ থেকে।

 

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent