বাসস : ১২ মে ২০২২, বৃহস্পতিবার, ১৯:৪৩:০৮
দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী জুভেন্টাসকে অতিরিক্ত সময়ে ৪-২ গোলে হারিয়ে অষ্টমবারের মতো ইতালিয়ান কাপের শিরোপা জয় করেছে ইন্টার মিলান।
রোমের স্তাদিও অলিম্পিকোতে অনুষ্ঠিত ফাইনালটি ছিল ঘটনা ও বিতর্কে ভরপুর। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে ইভান পেরিসিচের দুই গোলে ইন্টারের জয় নিশ্চিত হয়। ৮০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে হাকান কালহানোগ্লু গোল করে ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যান। অ্যালেক্স সান্দ্রো ও ডুসান ভ্লাহোভিচের দুই মিনিটের দুই গোলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ২-১ গোলে গিয়েছিল জুভেন্টাস। কিন্তু ম্যাচ শেষের ১০ মিনিট আগে লিওনার্দো বনুচ্চির হালকা একটু স্পর্শে ডি বক্সের ভিতর লটারো মার্টিনেজ পড়ে গেলে লেফারি পাওলো ভালেরির স্পট কিকের সিদ্ধান্ত নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
ম্যাচ শেষে পেরিসিচ বলেছেন, ‘আমার সব সময়ই মনে হয়েছে আমরাই জিতবো। এমনকি ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়ার পরেও আমি হাল ছাড়িনি। আমি মনে করি এই জয়টা আমাদেরই প্রাপ্য ছিল।’
গত মাসে তুরিনে আরো একটি বিতর্কিত জয়ের পর জুভেন্টাসের বিপক্ষে ইন্টারের এটি টানা দ্বিতীয় জয়। মৌসুমের শুরুতে ইতালিয়ান সুপার কাপেও জুভদের পরাজিত করেছিল ইন্টার। সিমোনে ইনজাগির দল বর্তমানে সিরি-আ লিগে শীর্ষে থাকা এসি মিলানের থেকে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে।
ম্যাচ শেষে জুভেন্টাসের কোচ মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি বলেছেন, ‘ইন্টার লিগ শিরোপার জন্য লড়াই করছে, আমরা তাদের থেকে পিছিয়ে আছি। মৌসুমের শেষে আমরা তাদের সাথে পয়েন্টের ব্যবধান কম রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাব।
ছয় মিনিটে নিকোরা বারেলার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইন্টার। ম্যাচের শুরু থেকেই আগ্রাসী মনোভাব লক্ষ্য করা গেছে ইন্টারের মধ্যে। কিন্তু তারপর থেকে জুভেন্টাসই ভাল খেলেছে। বিরতির আগ পর্যন্ত তাদের অন্তত এগিয়ে থাকা উচিৎ ছিল। ২৩ মিনিটে পাওলো দিবালার লো শট সহজেই রুখে দেন ইন্টার গোলরক্ষক সামির হানডানোভিচ। পরের মিনিটেই ভ্লাহোভিচের শক্তিশালী শট কোনমতে আটকে দেন হানডানোভিচ। মাথিস ডি লিটের হেডও গোলের ঠিকানা খুঁজে পায়নি।
বিরতির পর অবশ্য ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ঠিকই গোল আদায় করে নেয় তুরিনের জায়ান্টরা। ৫০ মিনিটে সান্দ্রোর গোলে সমতায় ফিরে জুভেন্টাস। দুই মিনিট পর ভ্লাহোভিচ জুভেন্টাসকে এগিয়ে দিতে ভুল করেননি। এর মাধ্যমে চার ম্যাচের গোলখরা কাটিয়ে উঠলেন ভ্লাহোভিচ। ডানিলো ডি’এম্ব্রোসিওর শটটি হানডানোভিচ আটকে দিলে ফিরতি বলে গোল করেন ২২ বছর বয়সী এই সার্বিয়ান।
৮০ মিনিটে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তের আগ পর্যন্ত জুভেন্টাস ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ঠিকই ধরে রেখেছিলো। স্পট কিক থেকে কালহানোগ্লুর গোলে ইন্টার শিবিরে স্বস্তি ফিরে আসে। ৯৯ মিনিটে পেরিসিচের গোলে এগিয়ে যাবার পর ইন্টারের জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। তিন মিনিট পর ক্রোয়েট এই তারকা আবারো গোল করলে জুভেন্টাস ম্যাচের ছন্দ হারিয়ে ফেলে।
Rent for add