তরফদারের প্রতিদ্বন্দ্বী কি তাহলে তাবিথ আউয়াল?

২৬ অক্টোবর বাফুফের নির্বাচন হচ্ছে, এটা নিশ্চিত। ওই নির্বাচনে বর্তমান সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না, তাও নিশ্চিত। এখন দেখার বিষয়, দীর্ঘ ১৬ বছর পর কাজী সালাউদ্দিনবিহীন নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন কারা।

কাজী সালাউদ্দিন ভোটে দাঁড়াচ্ছেন না, আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সভাপতি পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করেন তরফদার রুহুল আমিন; ক্রীড়াঙ্গনে যার আবির্ভাব হয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়ে। ২০২০ সালে নির্বাচন করবেন বলে অনেক ঢাকঢোল পেটালেও পরে দৃশ্যপটে ছিলেন না।

রুহুল আমিনের অভিযোগ, তাকে ভোট করতে দেওয়া হয়নি। নানামুখী চাপে তাকে ভোট থেকে দূরে সরে যেতে হয়েছে। এবার তিনি নির্বাচনের মাত্র এক মাস ১০ দিন আগে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই তিনি নির্বাচনের প্রস্তুতি চালিয়ে আসছিলেন। ঘোষণা দিলেন মাস দেড়েক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একটা অংশের সমর্থন নিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন রুহুল আমিন। বিএনপির যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক সাবেক তারকা গোলরক্ষক আমিনুল হকের সমর্থন রয়েছে তরফদার রুহুল আমিনের প্রতি। এখন দেখার বিষয়, রুহুল আমিনকে কার সাথে ভোটের লড়াই করতে হয়।

ফুটবল অঙ্গনে জোর গুঞ্জন, বাফুফে সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন বিএনপির আরেক নেতা দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল। তিনি দু-দুবার বাফুফের সহ-সভাপতি ছিলেন। সর্বশেষ নির্বাচনে অল্পের জন্য হেরে গেছেন।

সাবেক এই ফুটবলার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের বিষয়ে কিছু বলেননি। তবে তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়েছে, তাবিথ ভোটের লড়াইয়ে নামবেন।

তাবিথ আউয়াল নির্বাচন করলে বিএনপি ঘরানার ক্রীড়া সংগঠকরা বিভক্ত হয়ে পড়বেন ভোটের লড়াইয়ে। তবে তাবিথ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এ নিয়ে একটা ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের ডাক দিয়ে আমিনুল হক বলেন, বিএনপি ক্রীড়াঙ্গনে কোনো রাজনীতিকরণ করবে না। তার অংশ হিসেবেই তিনি বাফুফে সভাপতি পদে তরফদার রুহুল আমিনকে সমর্থন দিয়েছেন।

রুহুল আমিনের প্রতিপক্ষ তাবিথ হলে তখন ভোটের বাতাস কোন দিকে যায়, সেটাই দেখার। আপাতত তরফদার রুহুল আমিন একাই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন, তিনি সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

তবে ক্রীড়াঙ্গনের ঝানু সংগঠকরা বলছেন, ভোটের বহু খেলা বাকি। বাফুফে সভাপতি যিনিই হোন, তাকে ভোটে জিতে আসতে হবে। এবার আর কেউ খালি মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগ পাবেন না।

 

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent