বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট শুরু

যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘দেশের ফুটবলের হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসছে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশ সবার নজর কেড়েছে। গতকালই অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দল ভুটানের বিপক্ষে ৬-০ গোলে জিতেছে। যথাযথ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশের ফুটবল আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’

ক্রীড়ামন্ত্রী শনিবার মোহাম্মদপুর সরকারি শারিরীক শিক্ষা কলেজ মাঠে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৭) ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের (অনূর্ধ্ব-১৭) উদ্বোধন করে এ কথা বলেছেন।

যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, ‘ফুটবল বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। দেশের আনাচে কানাচে সর্বত্র এ খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। সরকার ফুটবলের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্ট আয়োজন ফুটবলের উন্নয়নে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুটবলের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি নিজেই এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করেন এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। তিনি সবসময় এই টুর্নামেন্টের খোঁজ খবর রাখছেন।’

প্রধানমন্ত্রী ক্রীড়াপ্রেমী পরিবারের সদস্য উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জাতির পিতা নিজেও ভালো ফুটবল খেলতেন। বঙ্গবন্ধুর পিতাও ভালো ফুটবলার ছিলেন। শহীদ শেখ কামাল আধুনিক ফুটবলের রুপকার। শহীদ শেখ জামালও ছিলেন কৃতি খেলোয়াড়। প্রকৃতঅর্থে বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবারই অতন্ত খেলাপ্রেমী পরিবার। তাই প্রধানমন্ত্রী ক্রিকেট ফুটবল ছাড়াও সকল খেলাধুলার উন্নয়নে অত্যন্ত আগ্রহী।’

শুধু ক্রিকেট-ফুটবলেই নয় ক্রীড়া অন্যান্য ডিসিপ্লিনেও বাংলাদেশ আরো ভালো ফলাফল অর্জন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক (অনূর্ধ্ব-১৭) ২০২৩ সালে প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ৪৬৬৭ টি দলের ৮৪০০৬ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করে। আর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে বালিকা প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ৫৮৪ টি দলের ১০৫১২ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করছে।’

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent