নিজস্ব প্রতিবেদক : ৩ জুলাই ২০২৩, সোমবার, ২১:৩৪:৩৭
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজীয় গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ নিজেই আসতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশে। তাঁর কলকাতা সফর নিশ্চিত হওয়ার পর আয়োজকদের তিনি বাংলাদেশে আসার আগ্রহটা জানিয়ে রেখেছিলেন। কাতার বিশ্বকাপের সময় আর্জেন্টিনা দলের প্রতি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সমর্থন তাঁকে ছুঁয়ে গিয়েছিল। আর্জেন্টিনার প্রতিটি ম্যাচে ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে বড় পর্দার সামনে হাজার হাজার মানুষের উন্মাদনার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শিরোনামও হয়েছিল। মার্তিনেজ দেখতে চেয়েছিলেন এই দেশটাকে। সেটা তিনি দেখেছেন।
সোমবার ভোরে ডাকায় পা রেখে বিকেলে চলে গেছেন কলকাতা। তবে যে বাংলাদেশ আর্জেন্টিনা, মেসি ও মার্টিনেজের নামে পাগল সেই বাংলাদেশকে তিনি দেখতে পারেননি। মোটা দাগে বলা যায় তাকে ঢাকায় আনা প্রতিষ্ঠানটি সেটা হতে দেননি। বাংলাদেশের মানুষ কতটা মেসির আর্জেন্টিনা ভক্ত তা সিকিভাগও টের পেলেন মার্টিনেজ এবং সেটা এই দেশে ১১ ঘন্টা থেকেও।
সবচেয়ে অবাক করার বিষয় ছিল মার্টিনেজের এই সফরে ফুটবলের কোন মানুষকেই সম্পৃক্ত করেনি মার্টিনেজকে আনা প্রতিষ্ঠানটি। একজন ফুটবলারকেও মার্টিনেজের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়া হয়নি। এমন কি বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বেঙ্গালুরু থেকে ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দে মার্টিনেজের জন্য অপেক্ষা করেও দেখা পাননি। একজন বিশ্ব সুপার স্টারকে ঢাকায় আনতে অর্থ ঢাললেও প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ অধিনায়কে এক ফোটা সম্মান জানানো প্রয়োজন মনে করেননি।
আর্জেন্টিনার গোলরক্ষককে ঢাকায় দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গেও দেখা হয়েছে তাঁর। দেশের সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদের সঙ্গে অবশ্য সেভাবে দেখা হয়নি মার্তিনেজের। কিন্তু অল্প যে কয়জনকে দেখছেন, তাতেই তিনি মুগ্ধ। এক ইনস্টাগ্রাম বার্তায় বলেছেন, নিকট ভবিষ্যতে তিনি আবার বাংলাদেশে ফিরতে চান। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে তিনি তাঁর হৃদয়ের একটা অংশ রেখে যাচ্ছেন।
কলকাতার বিমানে ওঠার আগে ইনস্টাগ্রাম বার্তায় মার্তিনেজ লিখেছেন, ‘নেক্সট ভেনচার ও ফান্ডেডনেক্সটের সঙ্গে বাংলাদেশে অসাধারণ একটা সফরে এসেছিলাম আমি। এ দেশের মানুষের যত্ন, ভালোবাসা ও অতুলনীয় আতিথেয়তা আমার হৃদয় জয় করেছে। আমি নিকট ভবিষ্যতে এই সুন্দর দেশটিতে আবারও আসতে চাই।’
মার্তিনেজ এরপর লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ বাহিনী ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। একই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা জানাই নাম না জানা আরও অনেককে, এই সফরে যাঁদের অবদান মোটেও কম নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে আমার যে বিশেষ সম্পর্ক, আপনারা সবাই তাঁর অংশ। আমি এই দেশে আমার হৃদয়ের একটা অংশ রেখে যাচ্ছি। পরবর্তী সফরের আগপর্যন্ত সবাইকে বিদায় জানাই। আমি বাংলাদেশের বাজপাখি হতে পেরে মুগ্ধ।’
Rent for add