স্পোর্টস ডেস্ক : ৫ এপ্রিল ২০২৩, বুধবার, ১:৩৮:১২
মাইকেল কিনের ৯০ মিনিটের দুর্দান্ত এক গোলে টটেনহ্যামের সাথে ১-১ ব্যবধানের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে স্বাগতিক এভারটন। এই ড্রয়ে শেষ চারে থেকে প্রিমিয়ার লিগ শেষ করার পথে হোঁচট খেল স্পার্সরা। একই সাথে ড্র দিয়ে শুরু হলো ক্রিস্টিয়ান স্টেলিনির টটেনহ্যামের অন্তর্বর্তীকালীণ দায়িত্ব।
৬৮ মিনিটে হ্যারি কেনের পেনাল্টিতে টটেনহ্যাম এগিয়ে গিয়েছিল। এক গোলে এগিয়ে থেকে টটেনহ্যাম টেবিলের তৃতীয়স্থান দখলে সঠিক পথেই ছিল। ১০ মিনিট আগে আব্দুলায়ে ডুকুরের লাল কার্ডে গুডিসন পার্কে ১০ জনের দলে পরিণত হয় এভারটন। কিন্তু ম্যাচ শেষের দুই মিনিট আগে বদলী খেলোয়াড় লুকাস মৌরাও লাল কার্ড পেলে টটেনহ্যামও একজন কম নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। কিনের অসাধারণ গোলে টেবিলের ১৫তমস্থানে থাকা এভারটন কিছুটা হলেও নিজেদের রক্ষা করার আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেয়েছে। এই ড্র-ই সিন ডায়চের দলের রেলিগেশন জোন থেকে উপরে উঠতে যথেষ্ট ছিল।
চতুর্থস্থানে থাকা টটেনহ্যাম নিউক্যাসল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথে সমান ৫০ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় তারা দুই ম্যাচ বেশি খেলেছে। এ নিয়ে টানা ষষ্ঠ অ্যাওয়ে ম্যাচে জয়বিহীন থাকলো টটেনহ্যাম। ম্যাচ শেষে স্টেলিনি বলেছেন, ‘লাল কার্ডের পরে তারা আমাদের তুলনায় বেশি আগ্রাসী হয়ে উঠেছিল। আমাদের এমন একটি দল হিসেবে খেলতে হবে যাতে হোম ও অ্যাওয়ে উভয় ম্যাচেই সমান প্রতিশ্রুতি ও আগ্রাসন বজায় থাকে।’
এন্টোনিও কন্টের বরখাস্তের পর স্টেলিনির অধীনে এটাই টটেনহ্যামের প্রথম ম্যাচ ছিল। টেবিলের তলানিতে থাকা সাউদাম্পটনের সাথে ৩-৩ গোলে ড্র করার মধ্য দিয়ে কন্টের টটেনহ্যাম অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হয়।
রেলিগেশন লড়াইয়ে থাকা এভারটন সবদিক থেকেই টটেনহ্যামকে প্রতিরোধ করেছে। প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যে স্পার্স অধিনায়ক হ্যারি কেনের দুটি বড় সুযোগ নষ্ট করাটা ছিল এভারটনের জন্য সৌভাগ্যের। আন্তর্জাতিক বিরতিতে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসন দখল করা কেনকে আরো আত্মবিশ্বাসী হয়ে মাঠে নামা উচিৎ ছিল। কিন্ত কেনের প্রথম শটটি লাইনের উপর থেকে ক্লিয়ার করেন কিন। এরপর ইভান পেরিসিচের ক্রস থেকে একেবারেই ফাঁকায় দাঁড়ানো থাকলেও কেনের হেড পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়।
এবারের মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে কম গোল দিয়েছে এভারটন। ইনজুরিতে থাকা স্ট্রাইকার ডোমিনিকি কালভার্ট-লুইনের অনুপস্থিতি কাল আরো একবার অনুভব করেছে স্বাগতিকরা। বিরতির ঠিক পরপরই সতীর্থদের পাস না দিয়ে অনেকটা স্বার্থপরের মতো খেলতে গিয়ে গোলের দারুণ এক সুযোগ হাতছাড়া করেছে এভারটনের সেনেগালিজ মিডফিল্ডার ইদ্রিসা গুয়ে। ৫৮ মিনিটে কেনের সাথে বিতন্ডায় জড়িয়ে থাপ্পর মেরে বসেন ফরাসি মিডফিল্ডার ডুকুরে। আকস্মিক এই ঘটনায় তাকে লাল কার্ড দেখালে কেউই কোন অভিযোগ করতে পারেনি।
এভারটনের পাগলামি এখানেই থেমে যায়নি। ৬৮ মিনিটে ক্রিস্টিয়ান রোমেরোকে অযথাই বক্সের ভিতর ফাউল করে বসেন কিন। ফলশ্রুতিতে প্রাপ্ত পেনাল্টি থেকে ডর্জান পিকফোর্ডকে উল্টো দিকে পাঠিয়ে বল জালে জড়ান কেন। মৌসুমে এটি তার ২৪তম গোল। এভারটন বস বলেছেন, ‘লাল কার্ডে আমাদের মানসিকতার কোন পরিবর্তন হয়নি। আমরা আগ্রাসন বজায় রেখেছিলাম। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেছি।’
ম্যাচের শেষ ভাগে একজন বেশি নিয়ে খেলার সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি টটেনহ্যাম। উল্টো এভারটনকে বারবার গোলের সুযোগ করে দিয়েছে। কিনকে চ্যালেঞ্জের অপরাধে ম্যাচ শেষে দুই মিনিট আগে লুকাসকেও মাঠ ছাড়তে হয়েছে। শেষ মিনিটে সেন্টার-ব্যাক কিন এভারটনকে গুরুত্বপূর্ণ এক পয়েন্ট উপহার দিলে পুরো স্টেডিয়াম উল্লাসে ফেটে পড়ে। -বাসস
Rent for add