দুই বন্ধু এখন পরস্পরের প্রতিপক্ষ

২০১৪ সালে পাকিস্তানে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ দলের অন্যতম স্ট্রাইকার সাবিনা খাতুনকে প্রথম দেখেছিলেন মালদ্বীপের গোলরক্ষক আয়মিথ লিজা। তখনই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন সাবিনার মধ্যে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত প্রতিভা। সময় যত গড়িয়েছে প্রতিপক্ষ দুই ভিনদেশী নারী ফুটবলারের মধ্যে সখ্যতা গড়ে উঠেছে। তাদের সেই সখ্যতা আরো সংহত হয়েছে যখন মালদ্বীপের ঘরোয়া ফুটবলে পুলিশ দলের হয়ে খেলতে গিয়েছিলেন সাবিনা।

বর্তমানে সাবিনা যেমন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক, তেমনি আসন্ন ষষ্ঠ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ দলের প্রথম প্রতিপক্ষ মালদ্বীপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন লিজা। এ যেন মুধর এক প্রতিদ্বন্দ্বিতা। দুই বন্ধু হয়ে গেছেন পরস্পরের প্রতিপক্ষ। আজ বুধবার তারা নামতে যাচ্ছে পরস্পরের মোকাবেলায়। একগাল হাসি দিয়ে মালদ্বীপের অধিনায়ক আয়মিথ লিজা বলেন, ‘আমরা এক সময় সতীর্থ ছিলাম। মালদ্বীপের পুলিশ দলে এক সঙ্গে খেলতাম। ও (সাবিনা) আমার টিমমেট ছিল। আসলে সাবিনা একজন দুর্দান্ত ফরোয়ার্ড। যে কোন সময় তার গতিতে পরাস্ত হতে পারে প্রতিপক্ষের গোলকিপার।’

মালদ্বীপের ঘরোয়া ফুটবলে পরিচিত নাম সাবিনা খাতুন। চারবার তিনি খেলেছেন দ্বীপ দেশটির লিগে। ২০১৫ সালে পুলিশ, ১৬ সালে দুবার সেনাবাহিনীতে এবং ২০২১ সালে খেলেছেন একই দলের হয়ে। গোল করে দলকেও জিতিয়েছেন সাবিনা। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৪১ ম্যাচে করেছেন ২৩ গোল। সাফ ও ফিফা প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশের এই সেরা ফরোয়ার্ডের কাছে তিন বারের দেখায় সবক’টিতেই হেরেছে মালদ্বীপ। সাফেই দুবারের দেখায় সাবিনা গোল করেছিলেন চারটি।

তাই মালদ্বীপ লিগে পুলিশের হয়ে খেলা লিজার দৃষ্টিতে মাঠে সাবিনা খুবই ভয়ংকর। বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে (সাবিনা) জানি। এক সময় পুলিশ দলে আমরা সতীর্থ ছিলাম। সে খুব ভয়ংকর ফরোয়ার্ড। সাবিনার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত একটি বন্ধুত্ব রয়েছে। সে একজন ভালো খেলোয়াড়। মাঠে তার খেলা অন্য খেলোয়াড়দের জন্য উদাহারণ হতে পারে। ২০১৪ সালে পাাকিস্তান সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে তাকে প্রথম দেখেছি, তখনই বুঝতে পেরেছিলাম যে তার মধ্যে দারুণ মেধা আছে। এবার আমাদেরকে পরস্পরের মোকাবেলা করতে হবে। আমার চেস্টা থাকবে তাকে প্রতিহত করা।’

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent