প্যারিসে শেষ রাতটা ভালো হলো না এমবাপের

প্যারিসে শেষ রাত। নিজেদের ঘরের মাঠে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) জার্সিতে শেষ ম্যাচ। এ যেন নিয়তির খেলা। যা বোঝে না শেষ কিংবা শুরু; চলে নিজের গতিতে। তবু প্রত্যাশা তো থাকে অনেককিছুই। কিলিয়ান এমবাপেও হয়তো এমন অনেক কিছুই প্রত্যাশা করেছিলেন। তবে নিয়তি তাকে সেটি পেতে দেয়নি।

যাদের সঙ্গে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে একই ড্রেসিংরুম শেয়ার করেছেন, জমা করেছেন হাজারো স্মৃতি; এই রাতের পর হয়তো এমবাপের জন্য সেই ড্রেসিং রুম দুই চোখে দেখাও বন্ধ হয়ে যাবে। নিজেদের মাঠ বলে আর খেলা হবে না প্রিন্সেস দে পার্কে।সূত্র: জাগোনিউজ২৪.কম

এই রাতে প্যারিসে এমবাপের বিদায় আর সিরি আঁ শিরোপা জয়ের উৎসবের আয়োজন করেছিল পিএসজি। কিন্তু তুলুজের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হেরে সেই আনন্দ মাটি হয়ে গেছে এমবাপেদের। এই ম্যাচের পর আর প্যারিসের মাঠে পিএসজির জার্সিতে নামবেন না এমবাপে। তবে মৌসুমের বাকি কয়েকটি ম্যাচে খেলতে পারেন এমবাপে। সেসব ম্যাচ প্রিন্সেস দে পার্কে নয়।

এমবাপের শেষ ইচ্ছেটা ছিল, চলতি মৌসুমে পিএসজিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতাবেন। কিন্তু নিজের সেই ইচ্ছেও পূরণ করতে পারেননি তিনি। বুরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে হেরে বিদায় নিতে আসরের সেমিফাইনাল থেকেই। জার্মান বুন্দেস লিগায় ক্লাবটির কাছে দুই লেগেই হেরেছে এমবাপের দল।

গতকাল ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ লুইস এনরিক বলেন, ‘অনুরাগীরা এমবাপ্পেকে তার প্রাপ্য শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তারুণ্য থাকা সত্ত্বেও সে একজন ক্লাব কিংবদন্তি। তার এখনও আমাদের সঙ্গে কয়েকটি ম্যাচ বাকি আছে। তবে আমি তাকে তার ক্যারিয়ারের জন্য শুভকামনা জানাই।’

এমবাপেকে নিয়ে সতীর্থ ডেম্বেলে বলেন, ‘সে ক্লাবকে অনেক কিছু দিয়েছে। অনেক কিছু করেছে। সে যা করেছে তাতে আমরা খুশি। পিএসজিতে ভালোভাবে বড় হয়েছে, সে অনেক কিছু অর্জন করেছে। সে একজন পিএসজি কিংবদন্তি। আমরা তাকে নিয়ে গর্বিত।’

তবে প্রিন্সেস দে পার্কে নিজের শেষ ম্যাচটা ভালোভাবেই শুরু করেছিলেন এমবাপে। ৮ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর পিএসজির হয়ে আর কেউ গোল করতে পারেননি।

আর তুলুজ হয়ে গোল করেন থিস ডালিঙ্গা (১৩ মিনিটে), ইয়ান গোবো (৬৮ মিনিটে) ও ফাঙ্ক মাগরি ৯৫ মিনিটে।

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent