বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করিয়ে কাঁদলেন গোলরক্ষক

ভারতের দিভানি লিনদার শটে গোল হলে ফাইনাল গড়াতো সাডেনডেথে। নেপালের কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে তখন পিনপতন নিরবতা। দিভানি পারেননি লক্ষ্যভেদ করতে। করতে দেননি বাংলাদেশের গোলরক্ষক ইয়ারজান বেগম।

দিবানির শট ঠেকিয়েই হাত উঁচিয়ে দৌড় দিলেন ইয়ারজান। তখন পুরো বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য গোলরক্ষককে ছোঁয়া। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উদযাপনের মধ্যমনি হয়ে গেলেন তিনি।

টাইব্রেকারের তিনটি শট ঠেকিয়েছেন ইয়ারজান। বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড় সুরভী আকন্দ প্রীতির নেওয়া প্রথম শট ভারতের গোলরক্ষক আটকে দেওয়ার পর শঙ্কা জেগেছিল লাল-সবুজ শিবিরে।

শুরুর সেই ধাক্কা কাটিয়ে দেন গোলরক্ষক ইয়ারজান ভারতের দ্বিতীয় শট ঠেকিয়ে। স্কোর ১-১ হওয়ার পর আবার জেগে ওঠে বাংলাদেশ। বনি দিলিয়ারির পর দিভানির শট ঠেকিয়ে ফাইনালের নায়ক হয়ে যান ইয়ারজান।

কেবল ফাইনালেই দক্ষতা দেখানটি বাংলাদেশের গোলরক্ষক। টুর্নামেন্টজুড়েই দুর্দান্ত খেলেছেন। পেয়েছেন সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার। পুরস্কার হাতে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কেঁদেই ফেললেন এই কিশোরী। টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষক এবং ফাইনালের সেরা পারফরমার। কেমন লাগছে আপনার?

জবাবে গোলরক্ষক ইয়ারজান বলেন, ‘আমার অনেক ভালো লাগছে। প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেললাম। সেরা গোলরক্ষক হওয়ার অনুভূতি অনেক। আমার কোচকে ধন্যবাদ জানাই আমাকে এ পর্যন্ত আনার জন্য। অনেক খুশি আজকে আমি। প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল টুর্নামেন্ট খেলে সেরা হলাম।’

সেরা গোলরক্ষক হওয়ার পুরস্কারকে তিনি উৎসর্গ করেছেন তার বাবা ও গোলকিপার কোচ আরিফুর রহমান পান্নুকে। এই উৎসর্গ করার কথা বলতে গিয়ে তিনি কেঁদে ফেলেন। আর প্রতিক্রিয়াই দিতে পারেননি।

টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন বাংলাদেশের সুরভী আকন্দ প্রীতি। ফেয়ার প্লে ট্রফি পেয়েছে ভুটান। সর্বাধিক গোলদাতার (৬টি) পুরস্কার পেয়েছেন ভারতের আনুস্কা কুমারী।

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent