অর্ধযুগ পর বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর মুখোমুখি

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের কারণে মধ্যপ্রাচ্য উত্তপ্ত না হলে এশিয়ান গেমসের পর বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হয়ে যেতো। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে লেবাননের বৈরুতে গিয়ে প্রীতি ম্যাচ দুটি খেলার কথা ছিল সাবিনাদের।

ওই সফর বাতিলের পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) মেয়েদের জন্য ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সিঙ্গাপুর দুটি ম্যাচ খেলতে সম্মত হওয়ায় মাঠে নামার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা। শুক্রবার ও সোমবার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ম্যাচ দুটি খেলবে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে।

অর্ধযুগ আগে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। ডেভেলপমেন্ট কাপে বাংলাদেশকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল স্বাগতিকরা। এই কয় বছরে বাংলাদেশের নারী ফুটবল অনেক এগিয়েছে। সাফের শিরোপা জিতেছে, প্রথমবারের মতো এশিয়ান গেমসে খেলার অভিজ্ঞতাও হয়েছে। অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের দাবি, বাংলাদেশ আগের চেয়ে অনেক চৌকুস দল। যে কারণে ৬ বছর আগের হারের বদলা নিতে মরিয়া তারা।

একই ভেন্যুতে দুটি ম্যাচ হবে দুই সময়ে। শুক্রবার প্রথম ম্যাচ শুরু হবে বিকেল ৪ টায়। সোমবার দ্বিতীয় ম্যাচ শুরুর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে বিকাল ৩টা। বুধবার রাতে সিঙ্গাপুরের মেয়েরা ঢাকায় এসে বৃহস্পতিবার বিকেলে অনুশীলন করেছে। শেষ বিকেলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশের মেয়েরাও। এখন মাঠে শক্তিপরীক্ষা প্রদর্শনের পালা।

কাগজ-কলমের শক্তিতে দুই দেশের পার্থক্য বেশি নয়। বাংলাদেশ ১৪২ নম্বরে, ১৩০ সিঙ্গাপুর। কাগজের এই পার্থক্য মাঠে কতটুকু প্রভাব পড়বে সেটাই এখন দেখার। গত বছর জুনে মালয়েশিয়া দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে ঢাকায় এসেছিল। ৫০ ধাপের বেশি এগিয়ে থাকা মালয়েশিয়াকে প্রথম ম্যাচে গুনেগুনে ৬ গোল দিয়েছিলেন সাবিনারা। দ্বিতীয় ম্যাচ গোলশূন্য ড্র করে সিরিজ জিতে নিয়েছিল ১-০ ব্যবধানে। সাবিনারা প্রমাণ করেছিলেন কাগজ-কলমের পার্থক্য সব সময় মাঠে কাজে আসে না। জাগোনিউজ

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent