পরের ম্যাচগুলো নিয়ে কি পরিকল্পনা কাজী সালাউদ্দিনের?


নিজেদের টুর্নামেন্ট সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অতিথি দল অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্তটা সহজ ছিল না। বেশিরভাগ সদস্য দেশের বিরোধিতার পরও বাংলাদেশ ও ভারতের আগ্রহে শেষ পর্যন্ত সর্বশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ লেবানন ও কুয়েতকে অন্তর্ভুক্ত করেছিল সাফ।
সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন লেবাননের বিপক্ষে ড্র করা ম্যাচ নিয়ে আলোচনায় বলছিলেন, ‘এখন আমরা যে শক্তিশালী দলের বিপক্ষেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি তা সাফে অতিথি দল খেলানোরই সুফল।’
‘আমি যখন সাফে অতিথি দল অন্তর্ভুক্তির কথা বলেছিলাম তখন অনেকেই সায় দেয়নি। তারপরও সেটা মিটিংয়ে অনুমোদন করিয়ে নিয়েছিলাম। আমি বুঝতে পারছিলাম, এমন সিদ্ধান্ত নিলে ট্রফিটা আমাকে এ অঞ্চলের বাইরের কোনো দেশকেই তুলে দিতে হতে পারে। তারপরও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত পাস করানো হয়েছিল। যদিও এবার ট্রফি এ অঞ্চলেই থেকেছে। শক্তিশালী দলগুলোকে খেলানোর সুফল বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দলও পাচ্ছে’- বলছিলেন সাফ ও বাফুফে সভাপতি।
পাঁচ মাস আগে ভারতের বেঙ্গালুরুতে হওয়া সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে দুই অতিথি দল লেবানন ও কুয়েতের বিপক্ষেই ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছিল বাংলাদেশের। লেবানন ছিল গ্রুপসঙ্গী, কুয়েতের বিপক্ষে দেখা হয়েছিল সেমিফাইনালে। লেবাননের কাছে বাংলাদেশ হেরেছিল ২-০ গোলে, কুয়েতের কাছে হার ছিল ১-০ গোলে। কুয়েত নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশকে হারাতে পারেনি, জিততে হয়েছে অতিরিক্ত সময়ে গিয়ে।
লেবানরের বিপক্ষে গ্রুপ ম্যাচটি হয়েছিল ২২ জুন। ঠিক পাঁচ মাস পর ২১ নভেম্বর সেই লেবাননের বিপক্ষে আবার দেখা হয়েছিল বাংলাদেশের। ২-০ গোলে হারের পর ১-১ এ ড্র। পাঁচ মাসে বাংলাদেশ দলটির পরিবর্তন কী তা মঙ্গলবার ম্যাচ শেষে বলে গেছেন লেবাননের কোচ। বাংলাদেশ ড্র করেছে। লেবানন ৭৯ ধাপ এগিয়ে থাকা দল বলেই তাদের ‘রুখে দেওয়া হয়েছে’ কথাটি আসছে। বাস্তবে এ ম্যাচ বাংলাদেশ দুই-তিন গোলে জিতলেও অবাক হওয়ার ছিল না।
গোল মিস হয়েছে গোটা চারেক। মোরসালিন গোল করে পয়েন্ট এনে দিয়েছেন সেটা তার কৃতিত্ব। তবে বাংলাদেশ জিততে না পারার সিংহভাগ ব্যর্থতা এই মোরসালিনেরই। বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছিল বদলি গোলরক্ষক মেদেহী হাসান শ্রাবণের চরম ব্যর্থতায়। তা নাহলে আন্তর্জাতিক ফুটবলে দারুণ একটা দিন কাটাতে পারতো বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ম্যাচে প্রত্যাবর্তন করে একটি পয়েন্ট পাওয়াও ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সবাই।
কাজী মো. সালাউদ্দিন ১৬ নভেম্বর মেলবোর্নে হওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হার প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘এই দলটির বিপক্ষে খেলা কম হয়। বেশি বেশি ম্যাচ হলে হারের ব্যবধানও কমবে। ওরা ঢাকায় আসবে খেলতে। আশা করি, তখন আমরা আরও ভালো খেলবো।’
মার্চে পরের দুই ম্যাচ। কী পরিকল্পনা ওই ম্যাচ নিয়ে? ‘কেবল খেলা হলো লেবাননের বিপক্ষে। দুই-একদিনের মধ্যে কোচের সঙ্গে বসবো পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে। আমরা কীভাবে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে মার্চের ম্যাচ দুটির জন্য প্রস্তুতি নেবো তা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জানিয়ে দিতে পারবো’- বলছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন।

 

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent