আত্মঘাতি গোলে বার্সাকে জয় উপহার

রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক কিংবদন্তী সার্জিও রামোসের আত্মঘাতি গোলে সেভিয়ার বিপক্ষে বার্সেলোনার ১-০ গোলের কষ্টার্জিত জয় নিশ্চিত হয়েছে। এই জয়ে কাতালান জায়ান্টরা লা লিগা টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে।

লামিন ইয়মালের হেড অভিজ্ঞ সেন্টার-ব্যাক রামোসের ডিফ্লেক্ট হয়ে জালে জড়ালে ৭৬ মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ঐ গোলেই শেষ পর্যন্ত বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের জয় নিশ্চিত হয়।

৩৭ বছর বয়সী রামোস এর আগে বলেছিলেন বার্সেলোনার বিপক্ষে গোল করতে পারলে বিশেষ ভাবে তা উদযাপন করবেন। এবারের গ্রীষ্মে পিএসজি থেকে তিনি শৈশবের ক্লাব সেভিয়ায় ফিরে আসেন। গোল তিনি ঠিকই করেছেন, কিন্তু সেটা দলের জয়ের জন্য হয়নি।

বার্সেলোনা কোচ জাভি ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘রামোস একজন অসাধারণ ডিফেন্ডার। দূর্ভাগ্যবশত তিনি আত্মঘাতি গোলের শিকার হয়েছে। কিন্তু পুরো ম্যাচে তিনি দুর্দান্ত খেলেছেন। সার্জিও এখানকার পরিবেশেই বেড়ে উঠেছে। শটটি তার গায়ে লেগে জালে জড়ায়, এখানে দূর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছুই বলার নেই।’

বার্সেলোনার এই তিন পয়েন্ট অর্জনে জিরোনাকে টপকে শীর্ষস্থান নিশ্চিত হয়েছে। মায়োর্কার সাথে ড্র করায় জিরোনা ও মাদ্রিদের থেকে পিছিয়ে পড়েছিল কাতালান জায়ান্টরা।

ম্যাচের আগে রেফারিংয়ে দূর্নীতির সাথে বার্সেলোনার যুক্ত থাকার অভিযোগের প্রতিবাদে সেভিয়ার পরিচালকারা প্রেসিডেনশিয়াল বক্সে বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। গত সপ্তাহে বার্সেলোনার কয়েকজন সাবেক পরিচালকের বিপক্ষে ঘুষ দিয়ে রেফারিংয়ে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ ওঠে।

অ্যাটাকিং মিডফিল্ড পজিশনে জাভি রাফিনহাকে দিয়ে ম্যাচ শুরু করিয়েছেন। তার সামনে ছিল ইয়ামাল। স্ট্রাইকার রবার্ট লিওয়ানদোস্কিকে যথার্থ সহযোগিতা করার জন্যই এই কৌশল নিয়েছিলেন জাভি। হুয়াও ক্যান্সেলোর দারুণ এক পাস থেকে হুয়াও ফেলিক্সের শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে অবশ্য সেভিয়া বেশি আগ্রাসী ছিল। বার্সেলোনার সাবেক মিডফিল্ডার ইভান রাকিটিচ ও ডোডি লুকেবাকিওর শট রুখে দেন মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগান।

রাফিনহাকে দিয়ে জাভি পরিকল্পনা খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৩৭ মিনিটে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। তার স্থানে মাঠে নামেন লা মাসিয়া গ্র্যজুয়েট ফারমিন লোপেজ। যার শেষ মুহূর্তের গোলে মায়োর্কার বিপক্ষে হার এড়িয়েছিল বার্সা। এই মিডফিল্ডারের পাসে ১৬ বছর বয়সী তরুণ তুর্কি ইয়ামাল গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন। গাভির শট অল্পের জন্য ডিফ্লেকটেড হয়ে বাইরে চলে যায়। গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা বার্সেলোনা শেষ পর্যন্ত ডেডলক ভাঙ্গে। ইয়ামালের হেড রামোসের গায়ে লেগে জালে জড়ালে আত্মঘাতি গোলের লজ্জা পায় সেভিয়া। ২০১৬ সালে রিয়াল মাদ্রিদের অধিনায়ক হিসেবে রামোস ক্লাসিকোতে খেলতে আসার সময় তার পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ হয়েছিল ৯ বছর বয়সী ইয়ামালের।

এই আত্মঘাতি গোলের আগ পর্যন্ত রামোস দারুণ খেলে বার্সেলোনাকে সবদিক থেকেই প্রতিহত করেছেন। স্টপেজ টাইমে লিওয়ানদোস্কির একটি শট ব্লক করেন রামোস। কিন্তু তার আগেই ক্ষতি যা হবার হয়ে গেছে। সেভিয়া কোচ হোসে লুইস মেন্ডিলিবার বলেছেন, ‘রামোস পুরো ম্যাচেই ভাল খেলেছে। কিন্তু যা হয়েছে তাতে ভাগ্য আজ সহায় ছিলনা। বলটি গায়ে লাগলে রামোস যথেষ্ঠ সময় পাননি তা প্রতিহত করার।’ -বাসস 

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent