পঞ্চাশতম আন্তর্জাতিক ম্যাচটি জয়ে রাঙাতে পারলো না সাবিনারা

পঞ্চাশতম আন্তর্জাতিক ম্যাচটি জয়ে রাঙাতে পারলেন না সাবিনা খাতুনরা। নারী ফুটবলে বাংলাদেশের এই মাইলফলকের দিনে জয় উদযাপন করেছেন নেপালি মেয়েরা। দুই ম্যাচ ড্র হলে সিরিজ নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে।

নারী ফুটবলে নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় মাত্র একটি। গত সেপ্টেম্বরে কাঠমান্ডুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে হেরেছিল নেপাল।

আন্তর্জাতিক ম্যাচে সেটিই বাংলাদেশের একমাত্র জয়। এবার ঘরের মাঠে জয়ের সংখ্যাটা বাড়িয়ে নিতে পারবেন সাবিনা-রূপনা চাকমারা তেমন প্রত্যাশা ছিল সবার। তবে দুই ম্যাচের একটিও জিততে পারেনি দক্ষিণ এশিয়ার সেরা দলটি।

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জিততে জিততে ড্র করেছে। লিড নিয়েও শেষ দিকে গোল খেয়ে জয় বঞ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচের শুরুর দিকে একটি সুযোগ ছাড়া তেমন কিছু করতে পারেনি স্বাগতিক মেয়েরা।

প্রথম ম্যাচের একাদশ অপরিবর্তিত রেখেই এই ম্যাচে দল সাজিয়েছিলেন কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু। তবে আক্রমণভাবে তিন খেলোয়াড় তহুরা খাতুন, সানজিদা আক্তার ও কৃষ্ণা রানী সরকার ছিলেন পুরোপুরি নিস্প্রভ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই এই তিনজনকে বসিয়ে নতুনদের নিয়ে আক্রমণভাগের দায়িত্ব দেন কোচ। তহুরার পরিবর্তে ‘জাপানি কন্যা’ সুমাইয়া, সানজিদার পরিবর্তে শাহেদা আক্তার রিপা এবং কৃষ্ণার পরিবর্তে রিতু পর্নাকে নামানোর পর বাংলাদেশের খেলার ধার কিছুটা বেড়ে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে বাংলাদেশ নেপালের রক্ষণে হানা দিয়েছিল কয়েকবার। তবে গোল হতে পারে তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেননি আক্রমণভাগের ফরোয়ার্ডরা। নাম্বার নাইন পজিশনে খেলা সুমাইয়া দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচেও নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে পারেননি।

আগের দিন অনুশীলন শেষে সাবিনাদের কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু বলেছিলেন, দেশের পঞ্চাশতম ম্যাচটি তারা জয়ে রাঙাতে চান। অধিনায়ক সাবিনা খাতুন অবশ্য জানতেনই না, এই ম্যাচটি জাতীয় দলের পঞ্চাশতম।

তবে তিনি বলেছিলেন, প্রথম দিনের চেয়ে এই ম্যাচ তারা আরো ভালো খেলে নির্ধারিত নব্বই মিনিটেই ম্যাচটি জিততে চান। সাবিনারা সেটা পারেননি। ঘরের মাঠে দুই ম্যাচ ড্র করে টাইব্রেকারে হেরে সিরিজ খুইয়েছেন তারা। তথ্য : জাগোনিউজ২৪.কম

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent