বেঙ্গালুরুতে জামালদের ঈদ, মেলেনি পোলাও খাওয়ার অনুমতি

দীর্ঘ ১৪ বছর পর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ। গতকাল (বুধবার) ভারতের বেঙ্গালুরুতে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ভুটানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফে সর্বশেষ সেমিফাইনাল খেলেছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। বাংলাদেশ ১ জুলাই সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে কুয়েতের। জিতলে ১৮ বছর পর ফাইনালে পা রাখবে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ফাইনাল খেলেছিল ২০০৫ সালে পাকিস্তানের করাচিতে। সূত্র : জাগোনিউজ২৪.কম

আজ পবিত্র ঈদুল আজহা। দেশের মানুষ গভীর আনন্দে ঈদ উদযাপন করছেন। তবে সাফ খেলতে ভারতের বেঙ্গালুরুতে অবস্থান করা জামাল ভূঁইয়াদের সেভাবে ঈদ উদযাপনের সুযোগ নেই। স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় হোটেলের পাশের রিসালদার পার্ক মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন জাতীয় দলের ফুটবলাররা। নামাজের পরই হোটেলে ফিরতে হয়েছে তাদের। কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সুযোগও মেলেনি।

বেঙ্গালুরু থেকে জাতীয় ফুটবল দলের ম্যানেজার আমের খান বলেন, ‘আমরা খেলোয়াড়দের নিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করি। ১০টার দিকে হোটেলে ফিরে সকালের নাশতা করেছেন ফুটবলাররা। এরপর দুপুরের খাবার খাওয়ার পর বিকেলে হোটেলেই জিম সেশন করেছেন সবাই। আজ মাঠের অনুশীলন নেই। রিকভারি, জিম-সুইমিং করেই দিন পাড় করেছে সবাই।’

‘ঈদ উপলক্ষে খেলোয়াড়দের জন্য পোলাওয়ের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা তাতে অনুমতি দেননি। দলনেতা জাহাঙ্গীর ভাই, সহকারী কোচ হাসান আল মামুনসহ আমরা কোচের সঙ্গে বসেছিলাম। চেয়েছিলাম ঈদের দিন খেলোয়াড়দের জন্য পোলাওয়ের ব্যবস্থা করতে। কোচ রাজি হননি। কারণ এমনিতেই খেলোয়াড়দের খাওয়ার ওপর কড়াকড়ি আছে কোচের। আমরা ঢাকায় নাবিল ভাইয়ের (বাফুফে সহ-সভাপতি ও ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ) সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তিনি বলেছেন, কোচ যেভাবে চান সেভাবেই করতে। পরে আমরা পোলাও বাদ দিয়ে খেলোয়াড়দের জন্য শুধু সেমাই আর পায়েস রান্না করিয়েছিলাম হোটেলের মাধ্যমে।’

দুদিন পরই কুয়েতের বিপক্ষে সেমিফাইনাল। গতকাল ম্যাচ শেষে হোটেলে ফিরতে ফিরতে রাত ১১টার মতো বেজেছিল। রাতে সেভাবে ঘুমও হয়নি খেলোয়াড়দের। আজকের দিন চলে গেলো রিকভারি এবং জিম আর সুইমিংয়ে। সেমিফাইনালের আগে হাতে সময় বলতে একদিন। যে কারণ কোচ খাওয়ার বিষয়ে কোনো ছাড় দেননি।

গতকাল ম্যাচের পরই ঢাকা থেকে দলের খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। ‘সভাপতি আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেমিফাইনালে উঠতে পারলে তিনি বোনাস দেবেন ৫০ লাখ টাকা। এমনও হতে পারে ফাইনালে উঠলেও তিনি আবার বোনাস ঘোষণা করতে পারেন’- বলছিলেন আমের খান।

বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘দল বেঙ্গালুরু যাওয়ার পর থেকে আমি নিয়মিতই কথা বলি ওদের সঙ্গে। গতকাল জয়ের পরও কথা বলেছি। আশা করছি সেমিফাইনালে ওরা আরও ভালো খেলবে।’

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent