ইতালিকে হারিয়ে ফাইনালে স্পেন

শেষ বাঁশি বাজার মাত্র দুই মিনিট আগে জোসেলুর জয়সূচক গোলে ইতালিকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে বৃহস্পতিবার নেশন্স লিগের ফাইনালে উঠেছে স্পেন। ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার মোকাবেলা করবে লা স্পেন।

রোববারের ফাইনাল নিশ্চিত করতে এনশেডে প্রাণপণ লড়াই করেছে লুইস দে লা ফুয়েন্তের দল। যেখানে স্বাগতিক নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে এখন ডালিসের শিষ্যদের জন্য অপেক্ষা করছে তারা।

ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই ইয়েরেমি পিনোর গোল এগিয়ে যায় স্পেন। কিন্তু পেনাল্টি থেকে অব্যর্থ লক্ষ্যভেদের মাধ্যমে ইতালিকে সমতায় ফিরিয়ে আনেন সিরো ইমোবিল। শেষ মুহূর্তে জোসেলুর জিরো পয়েন্ট থেকে জয়সূচক গোলটির আগে ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে গড়াতে যাচ্ছিল বলেই মনে হচ্ছিল।

এই জয়ে স্পেন কোচ দে লা ফুয়েন্তের মাথা থেকে চাপের বোঝা কিছুটা হলেও অপসারিত হয়েছে। গত মার্চে স্কটল্যান্ডের কাছে পরাজিত হবার পর থেকে দারুণ সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। এটি ছিল দায়িত্ব গ্রহণের পর তার দ্বিতীয় ম্যাচ।

এই নিয়ে নতুন কোচের অধীনে তিন ম্যাচে তিন গোল করলেন জোসেলু। এই কোচের অধীনেই জাতীয় দলে অভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। রদ্রি হার্নান্দেজের প্রচেস্টা ব্যর্থ হওয়ার পর পোস্টের একেবারে সামনে থেকে গোল করে নিজের অবস্থানকে সমুন্নত রাখতে সক্ষম হয়েছেন জোসেলু।

এদিকে ৩৭ বছর বয়সে জাতীয় দলে ঠাই পাওয়া স্পেনের সবচেয়ে বয়সী তারকা জেসুস নাভাস স্প্যানিশ সম্প্রচারক টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন,‘সবকিছুর জন্য আমি খুব খুশি। কোচ এবং এই দলটি জয়ের দাবীদার। আমরা বেশ আবেগ দিয়ে ম্যাচটি খেলেছি। দল ফাইনালে যাওয়ায় আমরা খুবই উদ্বেলিত এবং গর্ববোধ করছি। এটি ছিল কঠোর এবং সুন্দর একটি জয়। এভাবেই আমাদের চূড়ান্ত সাফল্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’

এই ম্যাচে অভিষেক হয়েছে রবিন লে নরম্যান্ড ও ফ্রান্সে জন্মগ্রহণকারী সেন্টার ব্যাক আইমেরিক লাপোর্তাকে। গত শনিবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে নিজেদের দক্ষতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই জাতীয় দলে ঠাই পেয়েছিলেন ম্যানচেস্টার সিটির ওই ডিফেন্ডার ও সতীর্থ রদ্রি। ফাইনালে সিটির হয়ে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন তিনি।

এদিকে জুভেন্টাসে উল্লেখযোগ্য পারফর্মেন্স করতে না পারা সত্বেও অভিজ্ঞ সেন্টার ব্যাক লিওনার্দো বনুচ্চিকে একাদশভুক্ত করেছিলেন ইতালীয় কোচ রবার্তো মানচিনি। এর মুল্য দিতে হয়েছে আজ্জুরিদের। গাভি ও ইয়েরেমি পিনোর চাপে পড়ে অধিনায়ক বনুচ্চি নিজেদের বক্সেই বল হাতছাড়া করলে তৃতীয় মিনিটেই ড্রাইভ করে গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারুমাকে পরাস্ত করেন পিনো।

অবশ্য ১১তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোলটি পরিশোধ করে ইতালিকে সমতায় ফিরিয়ে আনেন ইমোবিল। শেষ পর্যন্ত ৮৮ মিনিটে স্পেনের হয়ে জয়সূচক গোল করেন জোসেলু। খেলা শেষে মানচিনি বলেন,‘শেষ মুহূর্তের গোলে হলেও যোগ্যতা দিয়েই জয়লাভ করেছেন স্পেন। সম্ভবত কৌশলগতভাবে স্বাভাবিকতার চেয়ে ভিন্ন খেলার মুল্য দিতে হয়েছে আমাদের।’ -বাসস 

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent