কোনমতে রক্ষা পেল বায়ার্ন

মিডফিল্ডার জসুয়া কিমিচের শেষ মুহূর্তের গোলে বুন্দেসলিগা মৌসুমের দ্বিতীয় পরাজয়ের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। কিমিচের ৯০ মিনিটের গোলে ঘরের মাঠে কোলনের সাথে ১-১ গোলে ড্র করেছে বায়ার্ন।

শনিবার ব্রেমেনের বিরুদ্ধে ৭-১ গোলের জয় পাওয়া কোলন কাল তিন মিনিটে এগিয়ে গিয়ে বায়ার্নের উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। ডিফেন্ডার জুলিয়ান চাবট কর্ণার থেকে বল পেয়ে অনেকটা ফাঁকায় দাঁড়ানো এলিয়েস শাকিরির দিকে বাড়িয়ে দেন। তিউনিশিয়ান এ মিডফিল্ডার পোস্টের খুব কাছে থেকে বল জালে পাঠান। ২৯ মিনিটে কোলন ব্যবধান প্রায় দ্বিগুণ করেই ফেলেছিল। কিন্তু বায়ার্ন গোলরক্ষক ইয়ান সোমার শাকিরি ও ডেনিস হুসেইনবাসিচের পরপর দুই শট দুর্দান্তভাবে রুখে দিয়ে কোলনকে ব্যবধান বাড়াতে দেয়নি। এরপর বায়ার্নের একের এক আক্রমণ রুখে দিয়ে নিজেদের প্রতিরোধ করেছে কোলন। ২০০৯ সালের পর প্রথমবারের মতো বায়ার্নের মাটিতে জয় তুলে নেবার পথেই ছিল কোলন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে কিমিচ তা হতে দেয়নি।

শেষ মিনিটে গোল হজম করাটা কিছুটা অস্বস্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন কোলন ম্যানেজার স্টিফেন বমগার্ট। কিন্তু একইসাথে তিনি স্বীকার করেছেন পুরো দল যা খেলেছে তার মধ্যে পরিপূর্ণ পারফরম্যান্স ছিল।

বায়ার্ন কোচ জুলিয়ান নাগলসম্যান বলেছেন দ্বিতীয়ার্ধে তার দল দারুণ খেলেছে। কিন্তু ২০২৩ সালে দুই ম্যাচে দুই ড্রয়ে কিছুটা হলেও বায়ার্ন পিছিয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘দূর্ভাগ্যবশত: শেষ মুহূর্তে আমরা যথেষ্ট প্রতিরোধ গড়তে পারিনি।’ এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করলো বায়ার্ন।

দিনের আরেক ম্যাচে উল্ফসবার্গ তাদের সাম্প্রতিক ফর্ম ধরে রেখে হার্থা বার্লিনকে ৫-০ গোলে পরাজিত করেছে। এর আগের ম্যাচে ফ্রেইবার্গকে তারা ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল। ম্যাচের চার মিনিটে সুইডিশ মিডফিল্ডার মাটিয়াস সাভানবার্গ ফ্রি-কিক থেকে সফরকারী উল্ফসবার্গকে এগিয়ে দেন। অধিনায়ক ম্যাক আর্নল্ড স্পট কিক থেকে ৩০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। তিন মিনিট পর জোনাস উইন্ডের কার্ভিং শটে ৩-০ গোলের লিড পায় উল্ফসবার্গ। গত চারদিনে উইন্ডের এটি তৃতীয় গোল। দ্বিতীয়ার্ধে রিডল বাকু ও ওমর মারমুশ আরো দুই গোল করলে উল্ফসের টানা ষষ্ঠ জয় নিশ্চিত হয়।

শেষ ৬ ম্যাচে পরাজিত হয়ে তলানির থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা হার্থা শনিবার ইউনিয়ন বার্লিনের মোকাবেলা করবে। লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা বায়ার্নের তুলনায় এক ম্যাচ কম খেলা ইউনিয়ন বার্লিন এ মুহূর্তে টেবিলের চতুর্থ স্থানে রয়েছে।

এ দিন অন্য ম্যাচে ১০ জনের স্টুটর্গার্টেল সাথে ঘরের মাঠে ২-২ গোলে ড্র করেছে হফেনহেইম। আন্দ্রে ক্রামারিচের ইনজুরি টাইমের চতুর্থ মিনিটে দুর্দান্ত দুরপাল্লার শটে হফেনহেইমের ড্র নিশ্চিত হয়। এর আগে এই ক্রামারিচের গোলেই ম্যাচের শুরুতে লিড পেয়েছিল হফেনহেইম। ৪৫ ও ৭৭ মিনিটে সেরু গুইরাসি ও ওয়াটারু এন্ডোর গোলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় স্টুটগার্ট। ৭৮ মিনিটে দুই হলুদ কার্ডে মাঠত্যাগে বাধ্য জন ফরাসি মিডফিল্ডার নাইরু মোহাম্মদ আহামাদা। যে কারনে বাকিটা সময় স্টুটগার্টকে ১০ জন নিয়ে প্রতিরোধ চালাতে হয়েছে।

দিনের শুরুতে মিডফিল্ডার যানি ওলমোর এক গোল ও তিন অ্যাসিস্টে ধুকতে থাকা শালকেকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আরবি লিপজিগ। প্রথমার্ধে দুই গোল করেছেন পর্তুগীজ স্ট্রাইকার আন্দ্রে সিলভা। বেঞ্জামিন হেনরিকস ও সাবেক চেলসি ফরোয়ার্ড টিমো ওয়ার্নার প্রথমার্ধের বাকি গোল দুটি করেছেন।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই শালকে কিছুটা আগ্রাসী হয়ে উঠে। জাপানীজ মিডফিল্ডার কুজুকি ৫৬ মিনিটে শালকের হয়ে এক গোল পরিশোধ করেন। শালকের হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই প্রথম গোলের দেখা পেলেন তিনি। এরপর ওলমো একক প্রচেষ্টায় গোল করলে লিপজিগ ৫-১ গোলের লিড পায়। ড্যানিশ স্ট্রাইকার ইউসুফ পোলসেন শেষ মিনিটে আরো এক গোল করলে মৌসুমে সবচেয়ে বড় নিশ্চিত করে লিপজিগ।-বাসস

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent