কিলিয়ান এমবাপ্পে জোড়া গোলে শনিবার নঁতের বিপক্ষে লিগ ওয়ানে ৩-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। অন্যদিকে অ্যালেক্সিস সানচেজের গোলে অক্সেরেকে ২-০ গোলে পরাজিত করেছে টেবিলের আরেক শীর্ষ দল মার্সেই।

এই জয়ে মার্সেই অল্প কিছুক্ষণের জন্য লিগ টেবিলের শীর্ষস্থানটি দখল করেছিল। কিন্তু পিএসজি পরের ম্যাচে জয়ী হয়ে গোল ব্যবধানে মার্সেইকে পিছনে ফেলে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেছে। এবারের মৌসুমে লিগে ৬ ম্যাচে এ পর্যন্ত ২৪ গোল করেছে প্যারিসের জায়ান্টরা। শীর্ষ গোলদাতার তালিকায় নেইমারকে স্পর্শ করেছেন এমবাপ্পে। দুজনেরই গোল সংখ্যা ৭।

নঁতের বিপক্ষে এমবাপ্পের দুটি গোলেরই যোগানদাতা ছিলেন লিওনেল মেসি। ১৮ মিনিটে ফরাসি স্ট্রাইকারের দুর্দান্ত স্ট্রাইকে নঁতের গোলরক্ষক আলবান লাফোন্টে পরাস্ত হলে এগিয়ে যায় পিএসজি। গত মৌসুমে লিগে ঘরের মাঠে পিএসজিকে পরাজিত করেছিল নঁতে। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান ফুল-ব্যাক ফ্যাবিও ২৪ মিনিটে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠত্যাগে বাধ্য হলে নঁতের সব আশা শেষ হয়ে যায়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক এই ডিফেন্ডার মধ্যমাঠে ভিতিনহাকে বাজেভাবে চ্যালেঞ্জ করায় লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। এই চ্যালেঞ্জে পর্তুগীজ মিডফিল্ডার ভিতিনহাকেও কিছুক্ষণ পর মাঠ থেকে উঠিয়ে নিতে বাধ্য হন পিএসজি কোচ ক্রিস্টোফে গাল্টিয়ার।

৫৪ মিনিটে আবারো মেসির সহায়তায় পোস্টের খুব কাছ থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপ্পে। প্রথমে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল করা হলেও ভিএআর প্রযুক্তি শেষ পর্যন্ত পিএজিকে গোল উপহার দেয়।

এই গোলের পর বদলী বেঞ্চ থেকে উঠিয়ে আনা হয় নেইমারকে। ৬৮ মিনিটে তৃতীয় গোলে নেইমারের অবদান ছিল। ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারের শট থেকেই নুনো মেনডেস গোলের ঠিকানা খুঁজে পান।

পিএসজি এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দিকে মনোনিবেশ করবে। মঙ্গলবার ঘরের মাঠে তারা গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাসকে আতিথেয়তা দিবে। ঐ ম্যাচে নিশ্চিতভাবেই ইন-ফর্ম নেইমার মূল একাদশে ফিরবেন।

নেইমারকে বদলী বেঞ্চে রাখা প্রসঙ্গে পিএসজি বস বলেছেন, ‘কোন খেলোয়াড় যদি ভাল ফর্মে থাকে তবে তার গতি নষ্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়াটা সবসময়ই ঝুঁকির। কিন্তু মাঝে মাঝে সেটাও করতে হয়। তার সাথে আমার দীর্ঘ আলোচনার পর আমার সিদ্ধান্ত তাকে জানিয়েছি এবং সে সেটা মেনে নিয়েছে।’