মিরাজুলের হ্যাটট্রিকে মালদ্বীপকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালের পথে বাংলাদেশ

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে মালদ্বীপকে। শুক্রবার রাতে ভারতের ভুবনেশ্বরে অনুষ্ঠিত নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মিরাজুল-রফিকুলরা একচেটিয়া প্রাধান্য নিয়ে খেলে হারিয়েছে মালদ্বীপকে। শ্রীলংকা, ভারতের পর নেপালকে হারিয়ে বাংলাদেশ পৌছে গেছে ফাইনালের কাছাকাছি। এখন অপেক্ষা নেপাল ও ভারতের বাকি দুই ম্যাচের।

বাংলাদেশ প্রথমার্ধে ৪-০ গোলে এগিয়েছিল। চার গোলের তিনটিই করেছিলেন শ্রীলংকাকে হারানোর নায়ক মিরাজুল ইসলাম। তিনি একাদশে জায়গা পেয়েই নিজের জাতটা চিনিয়েছেন। ২০, ২২ ও ৪২ মিনিটে গোল করে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। এর আগে ৩২ মিনিটে মিরাজুলের বাড়িয়ে দেওয়া বলে ম্যাচের তৃতীয় গোল করেছিলেন রফিকুল ইসলাম।

মালদ্বীপ ম্যাচের একমাত্র গোলটি করে দ্বিতীয়ার্ধে। ৫৩ মিনিটে জাইন জাফরের গোলে মালের ছেলেরা হারের ব্যবধান কমিয়েছে। বাংলাদেশ শেষ ম্যাচ খেলবে নেপালের বিপক্ষে ২ আগস্ট।

বাংলাদেশ প্রথম দুই ম্যাচে শ্রীলংকাকে ১-০ গোলে এবং ভারতে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালের পথে বেশ এগিয়েছিল। ভারতের ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ জিতে ফাইনাল প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে পল স্মলির শিষ্যদের।

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ১-০ ব্যবধানে শ্রীলংকার বিপক্ষে জিতেছিল বদলি মিরাজুল ইসলামের গোলে। মিরাজুলকে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠেই নামাননি কোচ। ভারতের বিপক্ষে এগিয়ে থাকার কারণে তাকে নামানো প্রয়োজন মনে করেননি পল স্মলি।

মিরাজ অবশ্য শুক্রবার মালদ্বীপের বিপক্ষে একাদশেই জায়গা করে নিয়েছেন। এই ম্যাচে কোচ একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছিলেন। নাহিয়ান ও আক্কাস আলীকে রিজার্ভ বেঞ্চে রেখে কোচ একাদশে রেখেছেন মিরাজুল ইসলাম ও মুর্শেদ আলীকে। একাদশে জায়গা পাওয়া মিরাজুল ইসলামই মালদ্বীপকে বিধ্বস্ত করার নায়ক। ৮৪ মিনিটে বক্সের মাথা থেকে মিরাজুলের নেওয়া শট ক্রসবারে লেগে ফিরে না এলে আরো একটি গোল যোগ হতো তার খাতায়। বাংলাদেশও পেতো আরো বড় ব্যবধানের জয়।

বাংলাদেশ একাদশ

মো.আসিফ, তানভীর হোসেন, শাহীন মিয়া, আজিজুল হক, ইমরান খান, রফিকুল ইসলাম (হাসান জুম্মন নিঝুম), শহিদুল ইসলাম, পিয়াস আহমেদ নোভা, মইনুল ইসলাম (জনি), মিরাজুল ইসলাম ও মুর্শেদ আলী।

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent