শেষ হাসি নীলফামারীর ছমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের

ফাইনালপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে যশোরের বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কোচ সাব্বির আহমেদ পলাশ বলেছিলেন, ‘গ্রুপ ম্যাচে ওদেরকে আমরা ৪-০ গোলে হারিয়েছিলাম। ফাইনালেও হারাতে চাই।’ অন্যদিকে নীলফামারী ছমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের কোচ আবদুল ওহাব বলেছিলেন, ‘আমরা গ্রুপ ম্যাচে হেরেছি, ফাইনাল জিততে চাই।’

শেষ পর্যন্ত হাসিটা ফুটেছে নীলফামারীর স্কুলের কোচের মুখেই। বুধবার পল্টন আউটার স্টেডিয়ামে জাতীয় স্কুল ফুটবলের ফাইনালে নীলফামারী ছমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ১-০ গোলে যশোরের বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে প্রথম বারের মতো এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

১০ মিনিটে ফাইনালের একমাত্র গোলটি করেছেন বিজয়ী দলের অধিনায়ক নাইম ইসলাম। এটি ছিল টুর্নামেন্ট তার অষ্টম গোল। দুটি হ্যাটট্রিকসহ ৮ গোল করে তিনিই জিতে নিয়েছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার।

ফাইনালে দুর্দান্ত খেলেছে পরাজিত দলটি। দুর্ভাগ্য, হালি হালি গোল করার সুযোগ পেয়েও তারা কাজে লাগাতে পারেনি। নীলফামারির দলটি একটি সুযোগ পেয়ে সেটা কাজে লাগিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়ে মাঠ ছাড়ে। নীলফামারী ছমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এর আগে স্কুল ফুটবলের তিনবার সেমিফাইনালে উঠেও ফাইনালের টিকিট পায়নি। এবার ফাইনালে উঠেই চ্যাম্পিয়ন।

ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন দলের ডিফেন্ডার জিলকত হোসাইন। ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছেন রানার্সআপ দলের অধিনায়ক সাইদুর রহমান রাহুল, সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক নাইম ইসলাম, টুর্নামেন্টসেরা গোলরক্ষক হয়েছেন নোয়াখালীর অরুন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের সৌরভ সরকার এবং হবিগঞ্জের আলি ইদ্রিস স্কুল পেয়েছে ফেয়ার প্লে ট্রফি।

ফাইনাল শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেছেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সদস্য ও জাতীয় স্কুল ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান বিজন বড়ুয়া, বাফুফে সদস্য সতজিৎ দাশ রুপু, মহিদুর রহমান মিরাজ ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ।

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent