বাজে ফুটবল খেলে এশিয়ান কাপ মিশন শেষ করলো বাংলাদেশ

না। ভাল ফুটবল খেলে এশিয়ান কাপ বাছাই শেষ করতে পারলো না বাংলাদেশ। বরং শেষটাই হলো বেশি খারাপ। প্রথম দুই ম্যাচে বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানের কাছে হারলেও ব্যবধানটা এত হয়নি। এবার হলো ৪-১ গোলের হার।

একটা ভালো শেষ চেয়েছিল বাংলাদেশ; কিন্তু হলো তার উল্টো। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ যে তিনটি ম্যাচ খেললো তার মধ্যে সবচেয়ে বাজে হলো মালয়েশিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি।

মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বুকিত জলিল জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। যে জয় তাদের তুলে নিয়েছে এশিয়া কাপের চূড়ান্ত পর্বে।

আগের ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের কাছে ২-১ গোলে হারলেও প্রশংসা কুড়িয়েছিল বাংলাদেশ। কারণ, ভয়-ডরহীন এক ম্যাচ খেলে বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগও তৈরি করেছিল তারা; কিন্তু মালয়েশিয়ার বিপক্ষে শেষ মাচে? এই ম্যাচে বাংলাদেশ যেন খেলাই ভুলে গিয়েছিল।

বাংলাদেশ শিবিরে একটা স্লোগান ছিল- প্রথম ১০-১৫ মিনিট মালয়েশিয়াকে ঠেকিয়ে রাখো। কারণ, মালয়েশিয়ার এই দলটি প্রথম দিকে বিপজ্জনক। বাংলাদেশ পারেনি। কোনোভাবেই স্বাগতিক ফরোয়ার্ডকে আটকে রাখতে পারেনি বাংলাদেশের রক্ষণভাগ।

নিজেদের সীমানায়, মাঝমাঠে কিংবা প্রতিপক্ষের সীমানায় কোনো জায়গায়ই বাংলাদেশের ফুটবলররা টানা তিন-চারটি পাস খেলতে পারেননি। এলোমেলো ফুটবলের মধ্যেও একবার গোলের একটা সুযোগ তৈরি হয়েছিল। প্রথমে সাজ্জাদ এবং পরে রাকিব- কেউ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি।

ষষ্ঠ মিনিটে মালয়েশিয়াকে বঞ্চিত করেছিল বাংলাদেশের গোলপোস্ট। অধিনায়ক শফিকের শট ফিরে এসে পোস্টে লাগে। ওই যাত্রায় রক্ষা হলেও ১৫ মিনিটে পেনাল্টি খেয়ে বসে বাংলাদেশ। ফয়সালকে ফাউল করে বিপদ ডেকে এনেছিলেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডার আতিকুর রহমান ফাহাদ।

পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যাওয়ার মালয়েশিয়াকে সেটা ফিরিয়েও দিয়েছিল ক্যাবরেরার দল। তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে দেয়া গোলের মতো একইভাবে গোলটি হলো বিশ্বনাথের লম্বা থ্রো থেকে। প্রথমে রাকিবের হেড, পরে ইব্রাহিমের হেড। স্কোর ১-১।

ওই স্কোরে বিরতিতে যেতে পারলে একটা চাপে থাকতো মালয়েশিয়া; কিন্তু ৩৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে স্বাগতিকরা। শুরু হয় স্বাগতিকদের আরো আধিপত্য। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বেশি আগ্রাসী ছিল মালয়েশিয়া। বিরতির পর খেলা শুরুর দ্বিতীয় মিনিটে ব্যবধান ৩-১ করে ফেলে তারা। চতুর্থ গোলটি করে ৭৩ মিনিটে।

আগের ম্যাচে যারা বদলি হিসেবে নেমেছিলেন তারা ভালোই খেলেছিলেন। হয়তো দিনটি বাংলাদেশের ভালো খেলারই ছিল; কিন্তু এই ম্যাচে কোন বদলিই ঠিকমতো কার্যকর হয়নি। ফয়সাল আহমেদ ফাহিম একবার গোলরক্ষককে একা পেয়েও শট নিতে পারেননি।

৪-১ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর নিশ্চিত হয়ে যায় মালয়েশিয়ার জয়। বাংলাদেশ একটা গোল দিতে পারে কিনা সেটাই ছিল দেখার; কিন্তু সেটা আর হয়নি- বড় হারেই এশিয়ান কাপ মিশন শেষ হলো লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent