বাসস : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, সোমবার, ১:৫৮:২৪
এবারের লিগে দারুণ ছন্দে থাকা নঁতের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে জায়ান্ট পিএসজি। লিগ ওয়ানে নিজেদের মাঠে তারকা সমৃদ্ধ পিএসজিকে ৩-১ গোলে পরাস্ত করেছে নঁতে। এর মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ১৬‘র প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদকে পরাজিত করা পিএসজি বড় এক ধাক্কা খেয়েছে।
২০০৪ সালে ইন্টারটোটো কাপে খেলার পর প্রথমবারের মত ইউরোপে খেলার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে নঁতে। সেই লক্ষ্যেই দূরন্ত সূচনা করে বিরতির আগে পিএসজিকে ৩-০ ব্যবধানে পিছনে ফেলে। দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত বিরতির আগেই তিন গোল হজম করলো পিএসজি। গত নভেম্বরের পর প্রথম গোল করে নেইমার পিএসজিকে কিছুটা আশা জাগিয়েছিল। কিন্তু ৫৯ মিনিটে বাজেভাবে পেনাল্টি মিস করে সেই স্বপ্ন আবার ভেঙ্গেও দিয়েছে। মরিসিও পোচেত্তিনোর দল এরপর আর প্রতিপক্ষের উপর তেমন কোন চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি।
এনিয়ে মৌসুমে দ্বিতীয় পরাজয়ের স্বাদ পেল পিএসজি। যদিও দ্বিতীয় স্থানে থাকা মার্সেইর থেকে এখনো তারা ১৩ পয়েন্টে সুস্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থানটি ধরে রেখেছে।
মিডফিল্ডার মার্কো ভেরাত্তি বলেছেন, ‘বিশ্বে একমাত্র রেফারিরাই এই ধরনের কাজ করতে পারেন। আমাদের ৬ জন হলুদ কার্ড দেখেছে। মাঝে মাঝে রেফারিদেরও কিছু দায় দায়িত্ব নিতে হয়।’
এই জয়ে নঁতে টেবিলের পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে। শীর্ষ তিনের থেকে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান এখন মাত্র চার।
পিএসজি কোচ পোচেত্তিনো মূল একাদশে লিওনেল মেসি, এমবাপ্পে ও নেইমারকে নামিয়েছিলেন। তিন মাসের মধ্যে এই প্রথম পূর্ণ শক্তির দল পেয়েছিলেন পোচেত্তিনো। ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার ইনজুরি থেকে ফিরেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন। রিয়ালের বিপক্ষে তিনি বদলী হিসেবে খেলতে নেমেছিলেন। কিন্তু নঁতে চতুর্থ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে এগিয়ে যাবার সুযোগ হাতছাড়া করেনি। মোসেস সিমনের এসিস্টে রানডাল কোলে মুয়ানি গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের পায়ের মাঝ দিয়ে বল জালে জড়ালে এগিয়ে যায় নঁতে। এনিয়ে টানা তিন ম্যাচে পিএসজির বিপক্ষে গোল আদায় করে নিলেন মুয়ানি। পরের মুহূর্তেই মেসির একটি শট দুর্দান্ত দক্ষতায় রুখে দেন নঁতের গোলরক্ষক আলবান লাফোন্ত। কিন্তু পরের ১৫ মিনিটে আরো দুই গোল হজম করে বসে পিএসজি।
নভেম্বরের পর থেকে প্রথম দল হিসেবে পিএসজির বিপক্ষে বিরতির আগে এত বড় লিড পায় নঁতে। ১৬ মিনিটে কুয়েনটিন মারলিন কোনাকুনি শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। নাইজেরিয়ান উইঙ্গার সিমনের গোল নাভাস আটকে না দিলে ব্যবধান হয়ত আরো বাড়তে পারতো। ৪৪ মিনিটে ডেনিস আপিয়া এমবাপ্পেকে ফাউলের অপরাধে লাল কার্ড দেখলেও ভিএআর বিস্ময়করভাবে রেফারির সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেয়। জর্জিনিও উইজনালডামের হ্যান্ডবলে প্রাপ্ত পেনাল্টি থেকে প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে গোল লুডোভিচ ব্লাস।
বিরতির পর দুই মিনিটের মধ্যে মেসির দারুণ এক পাসে নেইমার গোল করে পিএসজির শিবিরে কিছুটা স্বস্তি ফেরান। এরপর এমবাপ্পের একটি শট আবারো অসাধারণ ভাবে রুখে দেন লাফোন্ত। ৫৯ মিনিটে নেইমারের পেনাল্টি সরাসরি লাফোন্তের হাতে ধরা পড়লেও পিএসজির সব আশা শেষ হয়ে যায়।
Rent for add