বায়ার্নে বিধ্বস্ত বোখোম

বোখোমকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে এবারের মৌসুমে প্রথমবারের মত বুন্দেসলিগা টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে বায়ার্ন মিউনিখ। শনিবার ঘরের মাঠ আলিয়াঁজ এরিনাতে গোল পেয়েছেন পোলিশ তারকা রবার্ট লিওয়ানদোস্কি। এর মাধ্যমে টানা ১৩তম লিগ হোম লিগ ম্যাচে গোল করার কৃতিত্ব দেখালেন লিও। এছাড়া জুসয়া কিমিচ করেছেন দুই গোল। বড় এই জয়ে বায়ার্নের হয়ে স্কোরশিটে আরো নাম লিখিয়েছেন লেরয় সানে, সার্জি গ্যানাব্রি ও এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোটিং। গ্রীক ডিফেন্ডার ভাসিলিয়স লামপ্রোপোলাস প্রথমার্ধে একটি আত্মঘাতি গোল দিয়েছেন।

ম্যাচ শেষে সানে স্কাই স্পোর্টসকে বলেছেন, ‘বোখোম ভাল খেলেছে, কিন্তু প্রথম গোলের পর সবকিছুই আমাদের পক্ষে ছিল।’ সব ধরনের প্রতিযোগিতায় গত সাত ম্যাচে জয়ী বায়ার্ন প্রতি ম্যাচে অন্তত তিনটি করে গোল করেছে। তাদের বিপক্ষে পরাজিত প্রতিপক্ষদের মধ্যে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, লিপজিগ ও বার্সেলোনা অন্যতম।

বায়ার্নের বিপক্ষে ৩৫ ম্যাচে মাত্র একটিতে জয়ী বোখোম বিরতির আগ পর্যন্ত ৪-০ গোলে পিছিয়ে ছিল। মঙ্গলবার বার্সেলোনার বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিশন শুরু করেছে বায়ার্ন। সেই ম্যাচের থেকে তিনটি পরিবর্তন করে মূল একাদশ সাজিয়েছিলেন বায়ার্ন কোচ জুলিয়ান নাগলসম্যান। গ্যানাব্রির সাথে রক্ষণভাগে ফিরেছিলেন জোসিপ স্টানিসিচ ও লুকাস হার্নান্দেজ। রাইট উইংয়ে খেলেছেন জামাল মুসিয়ালা।

ধারাবাহিক ফর্মহীনতার কারণে বেভারিয়ান্সদের প্রথম ম্যাচে সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েছিলেন সানে। কিন্তু তারপর থেকে গত পাঁচ ম্যাচে ২৫ বছর বয়সী এই জার্মান স্ট্রাইকার পাঁচটি এসিস্ট ও তিনটি গোল করে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। চলতি মাসের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে জার্মানীর হয়ে তিন ম্যাচে করেছেন দুই গোল।

ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক উইঙ্গার ম্যাচের শুরুতে ৩০ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত এক কার্লিং ফ্রি-কিকে ১৭ মিনিটে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন। ১০ মিনিট পর সানের ক্রস থেকে বোখোম গোলরক্ষক ম্যানুয়েল রেইম্যানকে পরাস্ত করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কিমিচ। ৩২ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গ্যানাব্রি দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন। বিরতির ঠিক আগে লিওয়ানদোস্কির পাস ছিনিয়ে নিয়ে নিজের জালে জড়িয়ে আত্মঘাতি গোলের লজ্জায় দলকে ফেলেন লামপ্রোপোলাস।

বিরতির পর বায়ার্নের গোলে আবারো মূল কারিগর ছিলেন সানে । তার পাস থেকে বল পেয়ে গ্যানাব্রি ফ্লিক করে দিলে লিওয়ানাদাস্কি তা জালে জড়াতে কোন ভুল করেননি। ৬৪ মিনিটে কিমিচ তার দ্বিতীয় গোল পূরণ করেন। এরপর লিওয়ানদোস্কির পরিবর্তে মাঠে নামা চুপো-মোটিং দলকে বড় জয় উপহার দেন। চুপো-মোটিংয়ের প্রথম দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবার পর তৃতীয় প্রচেষ্টায় বল জালে জড়ান। থমাস মুলারের একটি গোল অফসাইডের কারনে বাতিল হয়ে যায়।

 

 

 

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent