বৃটিশ সরকার মে মাসের শেষে আবারো দর্শকদের মাঠে ফেরার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। একই সাথে ইউরো ২০২০ আয়োজনে বৃটেন থেকে প্রস্তাব দেয়া হতে পারে। স্থানীয় দৈনিক সানডে টাইমসে প্রকাশিত এক রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে।

করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের ব্যাপক প্রয়োগ ও এর সফলতা বিবেচনায় দেশটির সাংস্কৃতিক সচিব অলিভার ডাউডেন উয়েফাকে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় আগেই দর্শক ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন। টিকিট থেকে প্রাপ্ত আয়ের ক্ষতি কমাতে সে কারণেই দর্শকের উপস্থিতিতে পুরো ইউরো ২০২০’র আসর নিজেদের দেশে আয়োজনের প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে বৃটিশ, এমন আভাসই দিয়েছে পত্রিকাটি।

কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে প্রায় এক বছর পিছিয়ে চলতি বছর ১১ জুন থেকে ১১ জুলাই ইউরোপের ১২টি শহরে ইউরো ২০২০ আয়োজনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ইউরোপীয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফা এখনো পর্যন্ত ১২টি শহরেই এবারের আসর অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। যদিও এই পরিস্থিতিতে পুরো বিষয়টি বেশ চ্যালেঞ্জিং বলেই তারা মনে করছে।

সেমিফাইনাল ও ফাইনালসহ ২০২০ ইউরোর সাতটি ম্যাচ ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। এছাড়া গ্লাসগোতে আয়োজিত হবে চারটি ম্যাচ। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপা লিগের বেশ কয়েকটি ম্যাচ জার্মানী, স্পেন ও পর্তুগাল থেকে সরিয়ে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজিত হয়েছে।

লন্ডন ও গ্লাসগো ছাড়াও ইউরো ২০২০’র স্বাগতিক শহরগুলো হচ্ছে ডাবলিন, আমস্টারডাম, কোপেনহেগেন, সেইন্ট পিটার্সবার্গ, বিলবাও, মিউনিখ, বুদাপেস্ট, বাকু, রোম ও বুখারেস্ট।