নিজস্ব প্রতিবেদক : ২ জানুয়ারি ২০২৪, মঙ্গলবার, ২৩:৪২:০৪
মনিকা চাকমা, রিতুপর্না চাকমা, আনাই মগিনি ও রূপনা চাকমাসহ বেশ কয়েকজন পাহাড়ীকন্যা জাতীয় ফুটবল দলে আলো ছড়াচ্ছেন। আগে আলো ছড়িয়েছেন আরো অনেকে। জাগোনিউজ২৪.কম
এই পার্বত্য অঞ্চল থেকে আরো নারী ফুটবলার তুলে আনার বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশননের নারী উইং। যে প্রকল্পের অর্থ যোগান দেবে ফিফা। নতুন বছরের শুরুতে নতুন এই প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছেন বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারপার্সন মাহফুজা আক্তার কিরণ।
পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাস করা অনেক নারী ফুটবলার রয়েছেন, যারা প্রতিভাবান। এখান থেকে বাছাই করে কিভাবে ফুটবলার আনা যায়, তা নিয়ে একটা পরিকল্পনা তৈরি করেছিল বাফুফে। সেই পরিকল্পনা অনুমোদন দিয়েছে এএফসি।
তা নিয়ে বছরের প্রথম দিনেই সভা করেছে বাফুফের নারী ফুটবল কমিটি। সভার পর মাহফুজা আক্তার কিরণ জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের খরচ দেবে এএফসি। বাফুফে একটি প্রকল্প তৈরি করে এএফসিতে পাঠিয়েছিল। এএফসি সেটি অনুমোদন দিয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের পর প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
পার্বত্য তিন জেলায় ফুটবলার বাছাই করা হবে। প্রতি জেলা থেকে ১৫ জন করে ৪৫ জন ফুটবলার বাছাই করে আনা হবে। সেখান থেকে ট্রায়ালের মাধ্যমে কমিয়ে আনা হবে ১২ জন। এই ১২ জনের মধ্যে যারা যোগ্য তাদের ওঠানো হবে বাফুফের এলিট একাডেমিতে। বাকিদের লেখাপড়াসহ প্রয়োজনীয় সুযোগসুবিধা দেবে এএফসির খরচ থেকে। এই প্রকল্প এক বছরের জন্য।
দুই-তিনজন ফুটবলারকে ক্যাম্প আনতে ৪৫ জনকে বাছাই কঠিন একটি বিষয়। তবে এ নিয়ে বাফুফের কিছু করার নেই। এএফসি এভাবে গাইডলাইন দিয়েছে।
মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেছেন, ‘এটা মাত্র শুরু। অনেকটা পাইলট প্রজেক্টের মতো। এখন দেখি, সামনে আরো বড় পরিসরে প্রথম কাজটা কতটুকু কী যায়। পরে আরো বেশি চাওয়া যাবে। তখন আমরা এএফসিকে বলতে পারব, আরো দুটি জেলা বাড়ানো যায় কি না। খেলোয়াড়সংখ্যা বাড়ানো যায় কি না।’
এ প্রকল্পকে পাহাড়ি অঞ্চলে ট্যালেন্ট হান্ট বলা যাবে না। সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক তাজের অংশ হিসেবেই নতুন এই প্রকল্প। এএফসিতে সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক প্রকল্প রয়েছে। মেয়েরা কীভাবে সাবলম্বী হবেন, আত্নরক্ষা করবেন। নারী উন্নয়নে নানা বিষয় রয়েছে। ফুটবলে কেউ যদি ভালো করে, দুই-তিন জনের জায়গায় বেশিও আনা হতে পারে বাফুফের ক্যাম্পে।
Rent for add