বাসস : ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, শুক্রবার, ১:১৫:১৭
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের নাটকীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ২-১ গোলে পরাজিত করেছে পর্তুগাল। আর এই ম্যাচে ইনজুরি টাইমে একটিসহ জোড়া গোল করে ইরানের আলি দেইকে ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
অথচ ফারোর ঘরের মাঠে ১৫ মিনিটে পেনাল্টি মিস করেছিলেন এই পর্তুগীজ সুপারস্টার। এই সুযোগে বিরতির ঠিক আগে জন এগান আয়ারল্যান্ডকে এগিয়ে দেন। কিন্তু হেডের সাহায্যে ৮৯ মিনিটে রোনালদো গোল ও ইনজুরি টাইমের ষষ্ঠ মিনিটের দ্বিতীয় হেডের গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। এই দুই গোলে ৩৬ বছর বয়সী রোনালদো আলি দেইয়ের ১০৯ গোলের রেকর্ড ছাড়িয়ে সর্বমোট ১১১ গোলে করে সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন। জুনে ইউরোর আসরে বুদাপেস্টে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ফ্রান্সের বিপক্ষে জোড়া গোল করে ইরানিয়ান তারকার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছিলেন রোনালদো।
ম্যাচ শেষে স্কাই স্পোর্টসকে রোনালদো বলেছেন, ‘আমি দারুণ খুশি। শুধুমাত্র রেকর্ড ভঙ্গের জন্য নয় আজ যেভাবে আমরা জয় ছিনিয়ে নিয়েছি তা অসাধারণ ছিল। এতে পুরো দলের কৃতিত্ব রয়েছে। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত আমাদের নিজেদের ওপর বিশ্বাস ছিল।’
চার ম্যাচ শেষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে বাছাইপর্বে এ-গ্রুপের শীর্ষে অবস্থান করছে পর্তুগাল। এক ম্যাচ কম খেলে তিন পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সার্বিয়া।
দিনের আরেক ম্যাচে আজারবাইজানকে ২-১ গোলে পরাজিত করে বাছাইপর্বের ইতিহাসে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে লুক্সেমবার্গ। তিন ম্যাচের একটিতেও জয় না পাওয়া তলানির দুই দল হিসেবে অবস্থান করছে আয়ারল্যান্ড ও আজারবাইজান। গ্রুপের শীর্ষ দল কাতারের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। রানার্সআপ দল প্লে-অফ খেলার সুযোগ পাবে।
ম্যাচের ১৫ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেসকে ফাউলের অপরাধে জেফ হেন্ড্রিকের বিপক্ষে পেনাল্টি আদায় করে নেয় পর্তুগাল। রোনালদোর সামনে সুযোগ আসে রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবার। কিন্তু রোনালদোর শটটি ভাল হলেও আইরিশ গোলরক্ষক গেভিন বাজুনু দারুন দক্ষতায় রুখে দিলে হতাশ হতে হয় স্বাগতিকদের। এরপর পর্তুগাল একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে। দিয়োগো জোতার শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে। কিন্তু এই সুযোগে স্টিফেন কেনির আইরিশ দল নিজেদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেয়। কর্ণার থেকে সেন্টার-ব্যাক এগানের হেডে বিরতির ঠিক আগে এগিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে জোতার একটি ভলি দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় রক্ষা করেন বাজুনু।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা পর্তুগাল দারুণভাবে করলেও আয়ারল্যান্ড তাদের ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ হাতছাড়া করে। ব্রাইটন ফরোয়ার্ড কনোলির শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ২০১৬ ইউরো বিজয়ীরা এরপর ম্যাচে ফিরে আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। বার্নান্ডো সিলভার সাত গজ দুরের শট গোলের ঠিকানা খুঁজে পায়নি। বক্সের বাইরে থেকে রোনালদোর ফ্রি-কিক রুখে দেন বাজুনু। কিন্তু পরমুহূর্তেই রোনালদোর শক্তিশালী হেড আর আটকাতে পারেননি সফরকারী গোলরক্ষক। জেমস ম্যাকক্লিনের শট রুই প্যাট্রিসিও রুখে না দিলে আয়ারল্যান্ড হয়ত তিন পয়েন্ট নিয়েই বাড়ি ফিরতে পারতো। ইনজুরি টাইমের ষষ্ঠ মিনিটে হুয়াও ম্যারিওসের ক্রস থেকে আরো একটি হেডে দলের জয় নিশ্চিত করেন রোনাল্ডো।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতা :
খেলোয়াড় ম্যাচ গোল
ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো (পর্তুগাল) ১৮০ ১১১
আলি দেই (ইরান) ১৪৯ ১০৯
মোখতার দাহারি (মালয়েশিয়া) ১৪২ ৮৯
ফেরেঙ্ক পুসকাস (হাঙ্গেরি) ৮৫ ৮৪
গডফ্রে চিতালু (জাম্বিয়া) ১১১ ৭৯
হুসেন সাইদ (ইরাক) ১৩৭ ৭৮
পেলে (ব্রাজিল) ৯২ ৭৭
আলি মাবখুত (ইউএই) ৯২ ৭৬
সান্দোর কোসিস (হাঙ্গেরি) ৬৮ ৭৫
কুনিশিগে কামামোতো (জাপান) ৭৬ ৭৫
Rent for add