নিজস্ব প্রতিবেদক : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ২৩:৫৪:৪০
ফিফার অর্থায়নে টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের জন্য কক্সবাজারের নির্ধারিত জায়গা বরাদ্দ বাতিল হওয়ায় বিকল্প খুঁজছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ২০২২ সালের জুলাইয়ে কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার খুনিয়াপালং মৌজায় ২০ একর জায়গা বাফুফের অনুকুলে হস্তান্তর করেছিল কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগ।
কিছুদিন আগে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জানিয়ে দিয়েছে ওই জায়গায় টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণ করা যাবে না। কারণ, ওই জায়গা ‘সংরক্ষিত বনাঞ্চল’ মর্মে বিভিন্ন অংশীজন থেকে অবহিত করা হয়েছে। আপত্তিও জানিয়েছিল অংশীজনরা।
তার প্রেক্ষিতেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ খুনিয়াপালং মৌজার জায়গার পরিবর্তে কক্সবাজারেই বিকল্প জায়গার কথা বলেছে টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের জন্য। নতুন জায়গাটি একই উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের ধলিরছড়া মৌজায়। এখানে জায়গার পরিমান ১৯.১ একর। দীর্ঘদিন ধরে এই জায়গা পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে।
তবে বাফুফে এখন ঢাকা বা এর আশপাশের কোনো জেলায় এই টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণ করতে আগ্রহী। এরই মধ্যে বাফুফে কাছাকাছি জায়গা খোঁজার কাজও শুরু করেছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার জাগো নিউজকে বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করবো ঢাকা বা আশপাশের কোনো জেলায় ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণের। কারণ, কক্সবাজারের ওই জায়গা অনেক দূর। ভবিষ্যতে ওই ট্রেনিং সেন্টার ঘরোয়া কোনো লিগ বা প্রতিযোগিতায় অংশ নিলে ফুটবলারদের ঢাকায় আসা-যাওয়া করাটা কষ্টকর হবে। তাছাড়া কাছে হলে তা দেখভাল করাটাও সহজ হবে বাফুফের জন্য।’
বিকল্প কোনো জায়গার সন্ধান কি পাওয়া গেছে? ‘না। আমরা কেবল খোঁজা শুরু করছি। সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপযুক্ত জায়গা পেলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে প্রস্তাবনা পাঠাবো। আর যদি পাওয়া না যায় তাহলে তো কিছু করার থাকবে না। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কক্সবাজারে বিকল্প যে জায়গার কথা বলেছে সেখানেই করতে হবে’- বলেছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক।
ফিফার অর্থায়নে দেশে প্রথমবারের মতো টেকনিক্যাল সেন্টার তৈরি হবে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সব কিছু থাকবে এ টেকনিক্যাল সেন্টারে। একটি ঘাসের মাঠ এবং একটি আর্টিফিসিয়াল টার্ফ থাকবে সেখানে। বিকেএসপির মতো সেখানে ফুটবলারদের জন্য একাডেমিক ভবন থাকবে। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে সবধরনের সুযোগ সুবিধা রাখা হবে এ সেন্টারে।
Rent for add