রোনালদোর রেকর্ডে নকআউটে পর্তুগাল

 

বয়সটা চল্লিশ ছুঁই ছুঁই। এই বয়সে এসেও দলের অপরিহার্য অংশ তিনি। বুড়ো হাড়ে জং ধরছে, গতি কমেছে, সোনালী সময়টা পেছনে ফেলে এসেছেন, তবুও দলের অন্য সব সদস্যের প্রেরণা তিনি। বুড়ো শরীরের ঝলকানিতে এখনও প্রতিপক্ষের ত্রাস। তিনি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এবারই হয়তো দেশের হয়ে শেষ ইউরো তার। নিজের শেষটাকে তাই রাঙাচ্ছেনও আপন রঙে। 

শনিবার (২২ জুন) রাতে ডর্টমুন্ডের সিগনাল ইদুনা পার্কে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তুরষ্কের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল পর্তুগাল। নিজেদের কিংবদন্তির উজ্জ্বল পারফরম্যান্সে ম্যাচটা ৩-০ গোলে সহজে জিতেও গেছে তারা; সঙ্গে নিশ্চিত করে ফেলেছে ইউরোর নকআউট পর্বে খেলা। গোল পাননি, তবে রেকর্ড গড়েছেন রোনালদোও। ইউরোতে সর্বোচ্চ গোলের পাশাপাশি এখন সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের মালিকও এ কিংবদন্তি।

নিজে গোল না পেলেও তুরষ্কের বিপক্ষে ম্যাচটাতে উজ্জ্বলতম পারফম্যান্স ছিল রোনালদোরই। প্রতিপক্ষের গোলমুখে ম্যাচের প্রথম নেওয়া শটটিও তার। যদিও তুর্কি গোলকিপার আতলাই বায়িন্দির সহজেই আটকে দেন শটটি। ম্যাচের প্রথম গোলটি পর্তুগাল পায় ২১তম মিনিটে। নুনো মেন্ডেসের বাড়ানো বল ধরে সহজেই জালে জড়ান বের্নার্দো সিলভা। ২৯ বছর বয়সী ম্যানচেস্টার সিটি উইঙ্গারের এটি নিজ দেশের হয়ে বড় টুর্নামেন্টে প্রথম গোল। এর আগে দুই ফিফা বিশ্বকাপ ও দুই ইউরো মিলিয়ে টানা ১৪ ম্যাচে গোলশূন্য ছিলেন তিনি।

সাত মিনিট পর দ্বিতীয় গোলও পেয়ে যায় পর্তুগাল। জোয়াও ক্যানসেলো মাঝমাঠ দিয়ে লম্বা করে বল বাড়ান রোনালদোর জন্য। তবে বল পেয়ে যান তুর্কি ডিফেন্ডার সামেত আকাইদিন। রোনালদো রক্ষণভাগে থাকার কারণেই হয়তো বল গোলকিপারের দিকে বাড়ান তিনি। কিন্তু বায়িন্দির ততক্ষণে সামনে চলে আসেন, আর ধীরে ধীরে বল চলে যায় জালের দিকে। গোলকিপার ছুটে গেলেও তার আগেই গোললাইন পেরিয়ে যায় বল। এই দুই গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে পর্তুগাল।

দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামার ১০ মিনিট মিনিট যেতেই তৃতীয় গোল খেয়ে বসে তুরষ্ক। ব্রুনোর কাছ থেকে বল পান রোনালদো, সামনে শুধু গোলকিপার; এরপরও কোনো ঝুঁকি নিতে চাইলেন না সিআরসেভেন। নিজে গোলের চেষ্টা না করে কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায় থাকা ব্রুনোকে দিয়ে দেন। আর সুযোগটা লুফেও নেন ব্রুনো। এ নিয়ে ইউরোতে ৭ গোলে অ্যাসিস্ট করলেন রোনালদো। ১৯৮০ আসর থেকে সংরক্ষিত রেকর্ড বলছে, এ সময়ে রোনালদোই সবচেয়ে বেশি গোল করিয়েছেন। ছাড়িয়ে গেছেন চেক প্রজাতন্ত্রের কারেল পোভরস্কির ৬ অ্যাসিস্টের রেকর্ড।

বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলেও শেষ ষোলোর টিকিট নিয়েই মাঠ ছাড়ে পর্তুগাল। অবশ্য তুরষ্কও আছে সুবিধাজনক অবস্থানে। তিন পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ এফের দ্বিতীয় অবস্থানে আছে তারা। শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ চেক প্রজাতন্ত্র। কেবল হার এড়াতে পারলেই নক আউট পর্ব নিশ্চিত হয়ে হওয়ার কথা তাদের। সূত্র: আরটিভি নিউজ

 

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent