অবিশ্বাস্যভাবে ঘরের মাঠেই বড় হার লিভারপুলের

মৌসুমের শেষ মুহূর্তে এসে কী তরি ডুবতে বসেছে লিভারপুলের? ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সর্বশেষ ম্যানইউর সঙ্গে ড্র করার ফলে পয়েন্ট টেবিলে পিছিয়ে যেতে হয়েছে তাদেরকে। দীর্ঘ সময় শীর্ষে থাকার পর শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে যাওয়া অল রের্ডদের শিরোপা জয়ের পথে বড় একটি বাধাই বলা যায়।

এবার লিভারপুল হেরে গেলো উয়েফা ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে। ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডেই অবিশ্বাস্যভাবে ০-৩ গোলে ইতালিয়ান ক্লাব আটলান্টার কাছে হেরে গেছে অল রেডরা।

জয়ের যে স্বপ্ন ইয়ুর্গেন ক্লপের, তাতে বড় একটি ধাক্কা লাগলো, সন্দেহ নেই।

আটলান্টার হয়ে জোড়া গোল করেছেন জিয়ানলুকা স্কামাকা। বাকি গোলটি করেন মারিও প্যাসালিক। এই হারে ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে টানা ১৪ মাস অপরাজিত থাকার রেকর্ড ভাঙলো লিভারপুলের।

ম্যাচ শেষে ক্লপ বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই ম্যাচ নিয়ে ইতিবাচক কিছুই বলার নেই। আমি জানি, আমরা যদি বেশ কিছু বিষয়ে ভালো করতে পারি, তাহলে অবশ্যই আমরা ভালো করতে পারবো। আমরা কী পরের ম্যাচ জিততে পারবো? আমরা যদি ভালো খেলি, তাহলে হয়তো জিততে পারবো। আমরা কী ৩-০ ব্যবধানে জিততে পারবো? কোনো ধারণা নেই আমার। তবে, এটা ঠিক খুব খারাপ অনুভূতি হচ্ছে এবং এটাই এখন আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

প্রিমিয়ার লিগে ম্যানইউর সঙ্গে ড্র হওয়া ম্যাচের একাদশ থেকে ছয় পরিবর্তন নিয়ে মাঠে দল নামিয়েছিলেন ক্লপ। শুরুটা ভালোও করেছেন প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যে গোলের ভালো সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ডারউইন নুনেজ বল লক্ষ্যে রাখতে না পারলে সেটা নষ্ট হয়।

ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় আটলান্টা। যার শুরুটা হয় ৩৮ মিনিটে জিয়ানলুকা স্কামাকার গোলে। ডেভিড জাপাকস্তার পিনপয়েন্ট পাস থেকে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা স্কামাকা বল পেয়ে যান এবং নিচু শটে জড়িয়ে দেন লিভারপুলের জালে।

প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ার কারণে দ্বিতীোরর্ধের শুরুতে মোহাম্মদ সালাহ, ডোমিনিক সবজলাই এবং অ্যাান্ডি রাবর্টসকে মাঠে নামান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। কিন্তু কোনো লাভ হলো না। উল্টো আরও দুটি গোল হজম করতে হয় লিভারপুলকে।

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent