বেঙ্গালুরুতে সাফের বাঁশি বাজার অপেক্ষা, প্রথম দিনই ভারত-পাকিস্তান

বেলারুশ থেকে রাতে ভারতের বিমান ধরে ৫ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সকালে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছানোর কথা পাকিস্তান ফুটবল দলের। ওই দিন বিকেলে ভারতের এই শহরের শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে কুয়েত ও নেপালের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ১৪তম আসর।

রাতে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান। ফুটবল শক্তিতে দুই দল প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী না হলেও রাজনৈতিকভাবে অবশ্যই। এই ম্যাচের টিকিট তো অনেক আগেই শেষ। ত্রিশ হাজারের মতো দর্শক ধারণক্ষমতা এই স্টেডিয়ামের।

এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপটা অন্যরকম। কারণ অবশ্যই লেবানন ও কুয়েত। আমন্ত্রিত দল হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুটি খেলছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। যা নতুন রূপ দিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপে।

আগের যে কোনো আসরের চেয়ে এবারের সাফ বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলেই মনে করছেন অনেকে। শিরোপার দাবিদারদের তালিকার শীর্ষে ভারতের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লেবাননও।

২০০৯ সালের পর সাফের গ্রুপপর্বের চৌকাঠ টপকাতে পারেনি বাংলাদেশ। এবারের আসরতো আরো বেশি চ্যালেঞ্জের লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম সাফের চ্যালেঞ্জ নিতে যাচ্ছেন স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা।

উদ্বোধনী দিনের দুটি ম্যাচই ‘এ’ গ্রুপের। বাংলাদেশের ‘বি’ গ্রুপের লড়াই শুরু বৃহস্পতিবার। দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশ মাঠে নামবে। বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ খেলবে লেবাননের বিপক্ষে। বাংলাদেশের সাফটা শুরু হতে যাচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ দিয়েই। তারপর চ্যালেঞ্জ মালদ্বীপ ও ভুটান।

সার্ক গোল্ডকাপ নাম দিয়ে সাফের যাত্রা শুরু ১৯৯৩ সালে। আগের ১৩ আসরের মধ্যে সর্বাধিক ৮ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। দুইবার চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপ। একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ২০০৩ সালে ঢাকায়। সর্বশেষ ফাইনাল খেলেছে ২০০৫ সালে করাচিতে এবং সর্বশেষ সেমিফাইনাল খেলেছে ২০০৯ সালে ঢাকায়। –জাগোনিউজ২৪.কম

বাংলাদেশের ম্যাচগুলো

২২ জুন : বাংলাদেশ- লেবানন
২৫ জুন : বাংলাদেশ-মালদ্বীপ
২৮ জুন : বাংলাদেশ-ভুটান

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent