নিজস্ব প্রতিবেদক : ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, শুক্রবার, ১৯:২১:১৮
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডান শেষ কবে আবাহনীকে হারিয়েছে, তা ভুলতেই বসেছেন সাদা-কালো সমর্থকরা। ২০১৯ সালে লিগের ফিরতি ম্যাচে আবাহনীর জালে এক হালি গোল দিয়েছিল মোহামেডান। তারপর আবাহনীকে হারিয়ে আর উদযাপন করতে পারেনি সাদা-কালোরা।
লিগে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচ মানেই হয় আবাহনীর জয়, না হয় ড্র। সর্বশেষ চার লিগে (করোনায় পরিত্যক্ত লিগসহ) দুই দলের ৭ সাক্ষাতে আবাহনী জিতেছে চারটি, একটি জিতেছে মোহামেডান এবং দুটি ম্যাচ হয়েছে ড্র।
চলতি লিগে শুক্রবার কুমিল্লার ভাষা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল দেশের দুই জনপ্রিয় দল। চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে টানা ব্যর্থতা মুছে প্রিয় দল ঘুরে দাঁড়াবে, এমন প্রত্যাশায় গ্যালারিতে ঠাঁই নিয়েছিলেন সাদা-কালো সমর্থকরা।
কিন্তু হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি মোহামেডান। ২-০ গোলে ম্যাচ জিতে মোহামেডানের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রাধান্য ধরে রাখে আবাহনী।
প্রথম ৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট হারিয়ে শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের চেয়ে পিছিয়ে পড়েছে আবাহনী। মোহামেডানের বিপক্ষে পয়েন্ট খোয়ালে শিরোপা রেসে ফেরাটা আরও কঠিন হয়ে যেতো ৬ বারের চ্যাম্পিয়নদের।
তবে আকাশি-নীলরা কোনো ভুল করেনি, মোহামেডানকে হারিয়ে মাঠ ছেড়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে তারা।
মোহামেডানকে হারানোর দুই নায়কই বিদেশি। একজন নাইজেরিয়ান পিটার নোরাহ, অন্যজন কোস্টারিকান ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস।
ম্যাচের বয়স ১২ মিনিট হতেই গোল করে এগিয়ে যায় আবাহনী। ৫৮ মিনিটে কলিন্দ্রেস ব্যবধান দ্বিগুণ করলে মোহামেডানের ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা ফিকে হয়ে যায়। দুই গোল ধরে রেখেই আবাহনীর জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
৬ ম্যাচে মোহামেডানের এটি দ্বিতীয় হার। জয় দিয়ে লিগ শুরু করা মোহামেডান পরের ৫ ম্যাচের তিনটি ড্র করে দুটি হেরেছে। ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের অষ্টম স্থানে এখনও প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিততে না পারা দলটি।
Rent for add