আর্জেন্টিনা নাকি ক্রোয়েশিয়া?

শ্বাসরুদ্ধকর ও নাটকীয় এক ম্যাচ জিতে মেসির আর্জেন্টিনা এখন সেমিফাইনালমঞ্চে। ১৯৮৬ সালের পর আবার বিশ্বকাপ জিততে ম্যারাডোনার দেশের দরকার আর দুটি জয়। যেখানে প্রথম বাধা গতবারের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া।

ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী দেশটি কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়েছে নেইমারের ব্রাজিলকে। পেলের দেশকে বিদায় করা ক্রোয়েশিয়া কী পারবে মেসিদের শিরোপা পুনরুদ্ধারের পথে কাঁটা বিছিয়ে দিতে? উত্তর মিলবে আজ (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ সময় রাত ১ টায়।

নেদারল্যান্ডসকে হারানো লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামেই ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। বিশ্বজুড়ে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা আশায় বুক বেধে আছে মেসির হাতেই উঠবে এবারের বিশ্বকাপ ট্রফি। অন্য দিকে ক্রোয়েশিয়া গতবারের মতো ফাইনালমঞ্চে পা রাখতে চাইবে মেসিদের হারিয়ে।

রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোল থেকে আর্জেন্টিনা বিদায় নিয়েছিল ফ্রান্সের কাছে হেরে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে না পারার কারণেই আর্জেন্টিনাকে নকাউট পর্বে পড়তে হয়েছিল ফ্রান্সের সামনে। না হলে মেসিরা পেতো অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালী ডেনমার্ককে। আর্জেন্টিনাকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে দেয়নি ক্রোয়েশিয়া। আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে বিশ্বকাপ শুরু করা আর্জেন্টিনা গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচেই হেরেছিল ক্রোয়েশিয়ার কাছে। নিঝনি নবগরদ স্টেডিয়ামে মেসিদের জালে গুনেগুনে ৩ গোল দিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া।

বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য যে ম্যাচটিতে জয় প্রয়োজন ছিল আর্জেন্টিনার সেই ম্যাচে কিনা তারা হেরে গিয়েছিল ৩ গোলে। গোলশূন্য প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনাকে উড়িয়ে দিয়েছিল শেষ পর্যন্ত ফাইনাল খেলা দেশটি। আন্তে রেবিচ, লুকা মদ্রিচ ও ইভান রেকিটিচরা কোন রকম সুযোগই দেয়নি দুইবারের চ্যাম্পিয়নদের।

চার বছর পর সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ এখন মেসিদের সামনে। মেসি, ডি মারিয়ারা নিশ্চয়ই সেই হারের কষ্ট ভুলে যায়নি। ১৩ ডিসেম্বর ক্রোয়েশিয়াকে হারাতে পারলে প্রতিশোধ নেওয়ার পাশাপাশি আট বছর পর ফাইনালমঞ্চে ওঠাও নিশ্চিত তবে আর্জেন্টিনার। পারবেন কি মেসিরা?

রাশিয়ায় ৩-০ গোলের হারের ম্যাচটি ছিল বিশ্বকাপে দুই দলের দ্বিতীয় দেখা। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে প্রথম দেখা হয়েছিল দুই দলের। সেবার আর্জেন্টিনা ১-০ গোলে হারিয়েছিল ক্রোয়াটদের। বিশ্বকাপের দুই ম্যাচের বাইরে আরো তিনবার আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা-ক্রোয়েশিয়া।

সেই তিন ম্যাচের একটি করে ম্যাচ জিতেছিল দুই দল। একটি ম্যাচ ড্র হয়েছিল। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক ফুটবলে দুই দেশ যে পাঁচবার পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিল সেখানে হার-জিতের পাল্লা সমান। কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে জয়ের পাল্লা ভারী করার পাশাপাশি প্রতিশোদেরও দারুণ সুযোগ মেসিদের আর্জেন্টিনার সামনে। পারবে কি মেসির আর্জেন্টিনা?

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent