ইন্টারকে হারিয়ে জুভেন্টাসের স্বস্তি

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার মিলানকে ২-০ গোলে পরাজিত করে দীর্ঘদিনের ফর্মহীনতা কিছুটা হলেও কাটিয়ে লড়াইয়ে ফিরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছে জুভেন্টাস। এই জয়ে সিরি-এ টেবিলের শীর্ষ চারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে তুরিনের জায়ান্টরা। এদিকে দিনের আরেক ম্যাচে রোমাকে ১-০ গোলে পরাজিত করেছে ল্যাজিও।

একের পর এক ব্যর্থতায় জুভেন্টাস তাদের মৌসুমের শুরুটা মোটেই ভাল করতে পারেনি। কিন্তু আদ্রিয়েন রাবোয়িতের দ্বিতীয়ার্ধের ৫২ মিনিটে দুর্দান্ত গোলের পর তরুণ নিকোলো ফাগিওলির ডিফ্লেকটেড শটে লিগে টানা চতুর্থ জয় নিশ্চিত হয় মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রির দলের। সার্বিয়ার স্ট্রাইকার ডুসান ভ্লহোভিচকে ছাড়া জুভেন্টাসের জয় নিশ্চিতে কোন সমস্যা হয়নি। টানা চতুর্থ জয়ে ল্যাজিও ও আটালান্টার থেকে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে শীর্ষ চারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে জুভেন্টাস।
আগামী সপ্তাহে ল্যাজিওর বিপক্ষে জয়ী হতে পারলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জায়গা নিশ্চিত আপাতত নিশ্চিত হবে।

মৌসুমের পঞ্চম গোল করা রাবোয়িত ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যা চলছে। তবে আমরা কোন সময়ই হাল ছেড়ে দেইনি। দলের প্রতিটি সদস্যর মধ্যে লক্ষ্য ও অঙ্গীকার ছিল।’

জুভেন্টাসের থেকে এক পয়েন্ট পিছিয়ে টেবিলের সপ্তম স্থানে রয়েছে ইন্টার। এটি মৌসুমে তাদের পঞ্চম পরাজয়। বেশ কিছু সুযোগ হাতছাড়া করে তারা এগিয়ে যেতে পারেনি। ২৭ মিনিটে এডিন জেকোর হেড অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। বিরতির তিন মিনিট আগে নিকোলো বারেলার ক্রস থেকে ডেনজেল ডামফ্রাইস পোস্টের খুব কাছে থেকে বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন।

দূরন্ত ফর্মে থাকা ফিলিপ কোস্টিকের সহায়তায় রাবোয়িত ৫২ মিনিটে ডেডলক ভাঙ্গেন। পাঁচ মিনিট পর হাকান কাহালোগ্নুর শট জুভেন্টাসের গোলরক্ষক ওজিনেচ সিজিসনির দক্ষতায় বারের উপর দিয়ে চলে যায়। এক গোলে পিছিয়ে থেকেও ম্যাচের ফিরে আসার বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েও তা ইন্টার কাজে লাগাতে পারেনি। ৬৫ মিনিটে ডানিলোর গোল হ্যান্ডবলের কারণে বাতিল হলে ব্যবধান বাড়ানো হয়নি জুভেন্টাসের। দ্রুত একটি কাউন্টার অ্যাটাক থেকে লটারো মার্টিনেজের লো ফিনিশ সরাসরি সিজিসনির হাতে ধরা পড়ে। ম্যাচ শেষে ৬ মিনিট আগে আবারো কোস্টিকের সহায়তায় ফাগিওলি ব্যবধান দ্বিগুণ করার পাশপাশি জুভেন্টাসের জয় নিশ্চিত করেন।

ইন্টার কোচ সিমোনে ইনজাগি বলেছেন, ‘প্রথমার্ধে আমরা সত্যিকার অর্থেই ভাল খেলেছি। বিরতির সময় গোলশূন্য থাকাটা আমাদের পিছিয়ে দিয়েছিল। জুভেন্টাসের মত প্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে খেলা সবসময়ই কঠিন। এই ধরনের বড় ম্যাচে ভুলের কোন সুযোগ নেই।’

এস্তাদিও অলিম্পিকোতে ২৯ মিনিটে ফিলিপ এন্ডারসনের গোলে ল্যাজিওর জয় নিশ্চিত হয়। পেড্রোর চাপের মুখে রোমা ডিফেন্ডার রজার ইবানেজ নিজেদের এরিয়ার মধ্যে বলের নিয়ন্ত্রণ হারালে সেই সুযোগে এন্ডারসন সফরকারীদের এগিয়ে দেন। ইনজুরি আক্রান্ত সিরো ইমোবিলের স্থানে সেন্টার-ফরোয়ার্ড হিসেবে নিজের পজিশন বদলে এটি ২৯ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের লিগে তৃতীয় গোল। উরুর ইনজুরির কারণে ইতালিয়ান অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার ইমোবিলে বেশ কিছুদিন ধরে ল্যাজিওর বদলী বেঞ্চে রয়েছেন।

অভিজ্ঞ কোচ মরিজিও সারির অধীনে ল্যাজিও নিজেদের এমনভাবে গড়ে তুলেছে যাতে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর তাদেরকে হারানো কঠিন প্রমাণিত হচ্ছে।

এর আগে দিনের শুরুতে নতুন উন্নীত দল মোঞ্জার কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হয়ে টেবিলের তলানিতে নেমে গেছে ভেরোনা। এ নিয়ে টানা অষ্টম পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেল ভেরোনা। এই জয়ে রেলিগেশন জোন থেকে সাত পয়েন্ট উপরে উঠে ১৫তম স্থানে রয়েছে মোঞ্জা। এবারই প্রথমবারের মতো সিরি-এ লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে মোঞ্জা।

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent