রিয়ালের জয়রথ থামালো লিপজিগ

রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে মঙ্গরবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৩-২ গোলের দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে আরবি লিপজিগ। এর মাধ্যমে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ মৌসুমে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেল।

আগামী ২ নভেম্বর পরবর্তী ম্যাচে ইউক্রেনিয়ান দল শাখতার দোনেস্কর বিপক্ষে ড্র করতে পারলেই লিপজিগের নক আউট পর্বের টিকিট নিশ্চিত হবে। আর জয়ী হতে পারলে কার্লো আনচেলত্তি দলকে টপকে গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে পরের রাউন্ডে যাবার সুযোগও রয়েছে।

রেকর্ড ১৪বারের বিজয়ী রিয়াল মাদ্রিদ ইতোমধ্যেই পরের রাউন্ড নিশ্চিত করেছে। কিন্তু রেড বুল এরিনাতে মার্কো রোসের দলের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। সব মিলিয়ে এবারের মৌসুমে ১৭ ম্যাচ পর হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো গ্যালাকটিকোদের।

১৩ মিনিটে পোস্টের খুব কাছে থেকে স্বাগতিক লিপজিগকে এগিয়ে দেন জোসকো গাভারডিওল। ক্রিস্টোফার এনকুনকো পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুন করেন। বিরতির আগে ভিনিসিয়াস জুনিয়র রিয়ালের হয়ে এক গোল পরিশোধ করেন। ৮১ মিনিটে টিমো ওয়ার্নারের গোলে ব্যবধান আবারো দ্বিগুন করে লিপজিগ। এই গোলেই জার্মান দলটির জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু স্টপেজ টাইমে রডরিগো এক গোল পরিশোধ করলে ম্যাচের ভাগ আবারো দোটানায় পড়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পেরে উঠেনি রিয়াল। এই জয়ে মাদ্রিদের থেকে এক পয়েন্ট পিছিয়ে গ্রুপ-এফ’র দ্বিতীয় দল হিসেবে লিপজিগের সংগ্রহ এখন ৯ পয়েন্ট।

মাচ শেষে মাদ্রিদ গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া বলেছেন, ‘আমরা অল্পের জন্য জিততে পারিনি। সেভাবে নিজেদের আগ্রাসন, গভীরতা দেখাতে পারিনি। তার ফলও পেয়েছি। কোচ বারবার আমাদের সতর্ক করে বলেছেন ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। কর্ণার থেকে তারা দুই গোল করেছে। বেশ কিছু বাজে পাস আমরা দিয়েছি। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ মোটেই ছিল না। সব মিলিয়ে অনেক ভুল ছিল। বাজে দিনে এমন হতে পারে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের অনেক ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে তারা বেশ বিপদজনক হয় উঠেছিল।’

ব্যালন ডি’অর বিজয়ী করিম বেনজেমা, লুকা মড্রিচ ও ফেডে ভালভার্দে কাল মাদ্রিদ দলে ছিলেন না। এছাড়া ডানি কারভাহাল ও ডেভিড আলাবাকেও আনচেলত্তি বিশ্রাম দিয়েছিলেন। ১৩ মিনিটে ডেডলক ভাঙ্গেন গাভারডিওল। কর্ণার থেকে আন্দ্রে সিলভার হেড কোর্তোয়া আটকে দিলেও ফিরতি বলে গাভারডিওল দলকে এগিয়ে দেন। এবারের মৌসুমে লা লিগায় বেলজিয়ান এই গোলরক্ষক এখনো পর্যন্ত কোন ম্যাচে গোল হজম করা থেকে দলকে রক্ষা করতে পারেননি। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুটি ম্যাচে তিনি কোন গোল হজম করেননি। ২৪ বছর বয়সী ফরাসি স্ট্রাইকার এনকুনকু ১৮ মিনিটে শর্ট কর্নার থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।

আনচেলত্তি বলেছেন, ‘আমরা সেট-পিস থেকে দুই গোল খেয়েছি। পুরো ম্যাচই তদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে তারা দারুণ খেলেছে। আমি মোটেই রাগ করিনি। যদিও পরাজয় সবসময় অস্বস্তি দেয়। এই পরাজয় অবশ্য আমাদের খুব একটা ক্ষতি করেনি। এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত যে দলটি ভাল খেলেছে তাদের নিয়ে সমালোচনা করা যায়না। ১০টি টানা জয় থেকে যা শিক্ষা হবে না একটি পরাজয় থেকে অনেক বেশি শেখা যাবে।’

প্রথমার্ধের শেষ ভাগে দুই ব্রাজিলিয়ান রডরিগো ও ভিনিকে লিপজিগ গোলরক্ষক জানিস ব্লাসউইচ সফল হতাশ করেন। তবে ৪৪ মিনিটে মার্কো আসেনসিওর ক্রস থেকে ভিনিসিয়াসকে আর আটকাতে পারেননি জানিস। এই গোলের পর ভিনিসিয়াস মাদ্রিদকে সমতায় ফেরানোর সুযোগ হাতছাড়া করেন। ৮০ মিনিটে মোহামাদ সিমাকানের লোস ক্রস থেকে বদলী খেলোয়াড় ওয়ার্নার দলের জয় নিশ্চিত করেন। ইনজুরি টাইমের চতুর্থ মিনিটে রডরিগো স্পট কিক থেকে গোল করলেও তা শেষ পর্যন্ত কোন কাজে আসেনি। এই পরাজয়ে মাদ্রিদও অপরাজিত থাকার রেকর্ড ধরে রাখতে পারলো না।

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent