মেসি-এমবাপ্পের জোড়া গোলে পিএসজির বড় জয়

কিলিয়ান এমবাপ্পে ও লিওনেল মেসির জোড়া গোলে ইসরায়েলের মাকাবি হাইফকে মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৭-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে প্যারিস সেইন্ট-জার্মেই (পিএসজি)। এই বড় জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই শেষ ১৬ নিশ্চিত করেছে প্যারিসের জায়ান্টরা।

ম্যাচে গোল পেয়েছেন নেইমারও। এছাড়া নেইমারের আরো একটি শট মাকাবি ডিফেন্ডার সিন গোল্ডবার্গের আত্মঘাতি গোলে পরিণত হয়। ৮৪ মিনিটে কার্লোস সোলারের গোলে ২০১৭ সালের নভেম্বরের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজি সাত গোল দেবার কৃতিত্ব অর্জন করে।

এই জয়ে গ্রুপ-এইচ থেকে বেনফিকার সাথে সমান ১১ পয়েন্ট নিয়ে পরের রাউন্ড উঠেছে পিএসজি। আগামী সপ্তাহে অবশ্য নিশ্চিত হবে শীর্ষ দল হিসেবে কে যাচ্ছে নক আউট পর্বে।

মাকাবি হাইফার হয়ে দুটি গোলই দিয়েছে সেনেগালিজ ডিফেন্ডার আবদুলায়ে সেক। জুভেন্টাসের সাথে গ্রুপ-এইচ থেকে হাইফারও বিদায় নিশ্চিত হয়েছে। কিন্তু এখনো ইসরায়েলি চ্যাম্পিয়নদের সামনে সুযোগ আছে বিশ্বকাপ বিরতির পর ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাসকে হারিয়ে গ্রুপের তৃতীয় দল হিসেবে ইউরোপা লিগ নিশ্চিত করার।

মাকাবির কোচ বারাক বখর বলেছেন, ‘বাজে খেলে ৪-০ গোলে পরাজিত হবার থেকে ৭-২ গোলে হেরে যাওয়াকে আমি এগিয়ে রাখবো। আমরা বিশ্বের সেরা একটি দলের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলাম। তারা নিজেদের প্রমাণ করেছে।’

মাকাবির বিপক্ষে দলের এই বড় জয়ে ভূমিকা রাখা মেসি, নেইমার এমবাপ্পে বিশ্বকাপের আগে নিজেদের প্রস্তুতির জানান দিয়েছেন। নিয়মিত ভাবেই তারা মাকাবির রক্ষণভাগকে সমস্যায় ফেলেছিল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জোড়া গোল করে এবারের মৌসুমে পঞ্চম ও ষষ্ঠ এবং সব মিলিয়ে ১৬টি গোল করেছেন এমবাপ্পে। চুক্তি নিয়ে মাঠের বাইরের আলোচনাকে ছাপিয়ে এমবাপ্পের এই পারফরমেন্স সত্যিই প্রশংসার দাবীদার।

প্যারিসে প্রথম মৌসুমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি মেসি। কিন্তু এবার নিজেকে যেভাবে আবিষ্কার করেছেন তাতে মনে হচ্ছে ক্যাম্প ন্যুর থেকে তিনি পার্ক ডি প্রিন্সেসেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। ১৯ মিনিটে তার হাত ধরেই এগিয়ে যায় পিএসজি। এমবাপ্পের থ্রু বলে গোলরক্ষক জোস কোহেনকে কোনাকুনি শটে পরাস্ত করেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। এরপর এমবাপ্পেকে রুখে দেন কোহেন। কিন্তু ৩২ মিনিটে আর কোন ভুল করেননি ফরাসি তারকা। কার্লিং শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। মেসির অ্যাসিস্টে তিন মিনিট পর অনেকটাই একই জায়গা থেকে এবার নেইমার দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন। ৩৮ মিনিটে ওমর আটজিলির ক্রসে হেডের সাহায্যে এক গোল পরিশোধ করেন সেক।

এরপর সম্ভবত ম্যাচের সবচেয়ে দুর্দান্ত গোলটি উপহার দেন মেসি। এমবাপ্পের সাথে বোঝাপড়ায় জোড়ালো শটে পোস্টের বামদিকের কোনায় বল জালে জড়ান মেসি। মৌসুমে এটি মেসির ১১তম গোল যা গত মৌসুমের সর্বমোট গোলের সমান।

দ্বিতীয়ার্ধের পাঁচ মিনিটে সেক আরো একটি গোল পরিশোধ করেন। গিয়ানলুইহি ডোনারুমার মাথার উপর দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে তিনি পিএসজিকে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে ফেলেন। কিন্তু ৬৪ মিনিটে আর্চাফ হামিকির ক্রসে এমবাপ্পের জোড়ালো শট আটকানোর সাধ্য ছিলনা কোহেনের। ৬৭ মিনিটে গোল্ডবার্গের আত্মঘাতি গোলে পিএসজি ষষ্ঠ গোল উপহার পায়। এরপর মেসির শট বারে লেগে ফেরত আসে। ৮৪ মিনিটে বদলী খেলোয়াড় সোলার দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন।

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent