আমাদের সমস্ত মনোযোগ এখন সেমিফাইনাল ঘিরে

এশিয়ার অন্যতম শক্তি ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন রংপুরের মেয়ে সিরাত জাহান স্বপ্না। সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ভারতের জালে যে তিনটি গোলে দিয়েছিল তার দুটি গোলই এসেছে একুশ বছর বয়সী স্বপ্নার পা থেকে। অপর গোল করেন টাঙ্গাইলের মেয়ে কৃষ্ণা রানী সরকার। এই দুই তারকার উপর ভর করে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় মঙ্গলবার বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল প্রথমবারের মতো ভারতকে হারিয়ে দেশবাসীকে দারুণ একটি জয় উপহার দেয়। এই জয়ের অন্যতম নায়ক স্বপ্নার সাক্ষাৎকারটি ফুটবলবাংলাদেশ.কম পাঠকের জন্য চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।

প্রশ্ন : মাঠে অনেক জয় উদযাপন করলেন, হোটেলেও কি সেরকম কিছু হয়েছিল?
স্বপ্না : সত্যি বলতে মাঠেই যা আমরা আনন্দ-উল্লাস, হৈ হুল্লোড় করেছি। হোটেলে ফিরে সেভাবে তেমন কিছু হয়ে উঠেনি। ডিনার করেছি। অনেকের পায়ে ব্যথা ছিল আইসবাথ করেছি। ট্রিটমেন্ট নিয়েছি। এসব মিলিয়েই হোটেলে আর আনন্দ-উল্লাস করা হয়নি।

প্রশ্ন : এখন তো আরো বড় মিশনের দিকে এগুচ্ছেন। মানসিকভাবে কতটা প্রস্তুতি নিচ্ছেন?
স্বপ্না : আমাদের প্রথম টার্গেট হচ্ছে সেমিফাইনাল। কিন্তু বরাবরই আমরা বলে আসছি ফাইনালে খেলব। সেই লক্ষ্য নিয়েই এগুচ্ছি। ভুটান ভাল টিম। ছোট করে দেখার অবকাশ নেই। আমরা আগের ম্যাচের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই ভুটানের সঙ্গে ভাল একটা জয় নিয়ে ফাইনালে যেতে চাই।

প্রশ্ন : ভারতকে হারানোর অনুভূতি কেমন ছিল ?
স্বপ্না : এশিয়ার অন্যতম শক্তি ভারতকে হারানো একটা বড় পাওনা ছিল। কারণ তারা পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন। অনেক শক্তিশালী দল। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে অনেক উপরে। এমন দলের বিপক্ষে জয়টা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent