বাসস : ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার, ৬:৩০:৩৭
দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর আগের ভয়াবহ ভুমিকম্পের স্মৃতি এখনো মারিয়া মান্ডাদের তাড়িয়ে বেড়ায়। ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল ভয়াবহ এক ভুমিকম্পের শিকার হয়েছিল হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশটি। ৭.৮ মাত্রার ওই ভুমিকম্পে নেপালের প্রায় ৮ হাজারেরও বেশি লোক মারা গিয়েছিল।
ওই সময় নেপালে ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নিতে এসেছিল বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৪ নারী ফুটবল দল। চোখের সামনে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ সেই দৃশ্য দেখে আতকে উঠে ৩০ সদস্যের দলটি। ওই সময় টিম হেটেলেই ছিল বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা। সন্ধ্যায় আঘাত হানা ওই ভুমিকম্পের কম্পনে দিগবিদিক ছুটতে থাকে তারা। হোটেল ছেড়ে দৌঁড়ে বের হয়ে আসেন তারা।
ইতোমধ্যে অবশ্য কেটে গেছে প্রায় সাতটি বছর। তবে ভয়াবহ ওই স্মৃতি এখনো ভুলতে পারননি এখন জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠা মারিয়া মান্ডা।
বৃহস্পতিবার ৮ সেপ্টেম্বর আর্মড পুলিশ মাঠে অনুশীলন শেষে সেই ভয়বহ ওই ঘটনার কথা জানতে চাইলে স্মৃতি হাতড়ে তিনি বলেন, ‘সেই দিনটি আমার জীবনের আতঙ্কিত এক দিন ছিল। ওই দিন আমরা আতঙ্কিত হয়ে হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলাম। মনে হচ্ছিল এখনই মৃত্যুপুরিতে পরিণত হবে গোটা দেশ। চারিদিকে কেবল হাহাকার ও আত্মচিৎকারে কান ভারী হয়ে আসছিল। বিপদগ্রস্থ মানুষদের বাঁচাতে প্রাণপণ লড়াই করতে দেখেছি সরকারী লোকজনদের। নেপালে এলে সেই দিনটি এখনো চোখে ভেসে উঠে।’
কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ফাইনাল না খেলেই নেপাল ছেড়ে দেশে ফিরেছিল বয়সভিত্তিক বাংলাদেশের ওই নারী দলটি। পরে অবশ্য আরও চারবার নেপালে এসেছেন মারিয়া। প্রথমবার এসেছিলেন টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলতে। সাউথ এশিয়ান গেমসে অংশ নিতেও নেপাল আসেন মারিয়া। তাই সেই ভীতি কেটে গেছে অনেকটাই। তবে ভংয়ঙ্কর সেই স্মৃতি কখনো ভুলতে পারবেনা বলে জানান জাতীয় দলের এই মিডফিল্ডার। মারিয়া বলেন,‘মাঝে সাঝে ওই দিনটির কথা মনে হলে ভয়ে শিউরে উঠি। তবে ভয় অনেকটাই কেটে গেছে। কারণ এরপর আরও চারবার এখানে (নেপালে) এসেছি।’
Rent for add