সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রথম ও শেষ ট্রফি ২০০৩ সালে ঢাকায়, সর্বশেষ ফাইনাল ২০০৫ সালে করাচিতে এবং সর্বশেষ সেমিফাইনাল ২০০৯ সালে ঢাকায়। সর্বশেষ চারটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্বই টপকাতে পারেনি বাংলাদেশ। সর্বশেষ ব্যর্থতা ২০১৮ সালে ঘরের মাঠে। দক্ষিণ এশিয়ার টুর্নামেন্টে হাবুডুবু খাওয়া বাংলাদেশ এবার চোখ রাখছে শিরোপায়।

১ থেকে ১৬ অক্টোবর মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মঙ্গলবার মালে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। যাওয়ার আগে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে কোচ অস্কার ব্রুজন ও অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যের কথাই শোনালেন।

কিভাবে? যে দলটি গত চারটি সাফের সেমিফাইনালেই পা রাখতে পারেনি, সেই দল হবে চ্যাম্পিয়ন? চোখটা কি বেশি ওপরে তোলা হলো না? জামাল ভুঁইয়া চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যের পেছনে কিছু যুক্তিও দিয়েছেন। তার মতে, বর্তমান দলটির খেলোয়াড়রা অনেক দিন ধরে এক সঙ্গে আছেন। ভাল একটু গ্রুপ তারা। সবার মধ্যেই ভাল কিছু করার তাগিদ আছে।

কেবল অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াই নন, নতুন কোচ অস্কার ব্রুজনও নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বাংলাদেশকে। তিনিও মধ্যবর্তী এই দায়িত্বটা রাঙ্গাতে চান চ্যাম্পিয়ন হয়ে। ক্যারিয়ারের প্রথম জাতীয় দলের দায়িত্বটা স্মরণীয় করে রাখতে চান এই স্প্যানিশ।

জামাল ভূঁইয়া বলেছেন,’আমরা কয়েকটা দিন অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করছি। খেলোয়াড়রা নিজেদের সেরা দিতে প্রস্তুত। আমরা নিজেদের খেলাটা দেখাতে চাই। কিছু একটা করতে হবে, কিছু একটা করে দেখাতে চাইছি। আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমরা ম্যাচ বাই এগুতে চাই। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি, আশা করছি, সে লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবো।’

এই টুর্নামেন্টে ফেভারিট নিয়ে জামাল ভূঁইয়ার মন্তব্য ‘ফিফা র্যাংকিং বলছে ভারতই ফেভরিট। তবে আমাদের কাছে সব প্রতিপক্ষই সমান। শ্রীংলকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ, শ্রীলংকাই আমাদের প্রথম প্রতিপক্ষ। প্রথম ম্যাচটা কঠিন হবে। শ্রীংকার বিপক্ষে জিততে হবে। তারপর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ। ওই ম্যাচটি না হারলেই ভালো।’

নতুন কোচের অধীনে মাত্র কয়েকদিনের অনুশীলনে খেলোয়াড়রা কি মানিয়ে নিতে পারবেন ব্রুজনের কৌশল? জামাল ভূঁইয়া বলেছেন,’কোন কিছুই একদিনে তৈরি হয় না, একটা প্রসেস আছে। কোচ প্রথম দিন যোগ দিয়েই বলেছেন কীভাবে দলকে খেলাতে চান। তিনি সবকিছু পরিস্কার করে দিয়েছেন। যে ফরমেশন দিয়েছেন সেভাবে লিগে বেশিরভাগ দলই খেলে থাকে। তা মানিয়ে নিচ্ছি। আমরা কোচের অধীনে নতুন ফরমেশনে ধাতস্ত হওয়ার চেষ্টা করছি।’ এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন দিক হলো ফরম্যাট। পাঁচটি দেশ অংশ নিচ্ছে বলে খেলা হবে রাউন্ড রবিন লিগ ভিত্তিতে। এখানে এক ম্যাচ খারাপ করলে তা কাভার করার সুযোগ থাকে। নতুন এই ফরম্যাটও বাংলাদেশকে আশাবাদী করছে ফাইনালে ওঠার।