বাল্যবিবাহ ঠেকাতে জোট বেধেছে বাফুফে-ইউনিসেফ

বাল্যবিবাহ সমাজের অভিশাপ। এক ধরণের ব্যাধিও। এ ব্যধি দেশের অনেক পরিবারের মধ্যেই আছে। অভাব-অনটন, বখাটেদের উৎপাতসহ নানা কারণে অনেক বাবা-মা কৈশোর পেরুনোর আগেই মেয়েকে বিয়ে দেয়ার জন্য উঠে-পড়ে লেগে যান।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিরোধের প্রবণতাও বাড়ছে সমাজে। স্কুল পড়ুয়া কিশোরী নিজে কিংবা শিক্ষকের সহায়তায় বিয়ে ঠেকিয়ে দিয়েছে- এমন খবরও দেখা যায় মাঝেমধ্যে। এই বাল্যবিবাহ ঠেকানোর প্রবণতা যাতে আরো বৃদ্ধি পায়, বাল্যবিবাহের পরিমাণ আরো কমিয়ে আনা যায় সেজন্য যৌথভাবে কাজ করছে ইউনিসেফ এবং বাফুফে।

কিভাবে বাল্যবিবাহ ঠেকানো যায় তার ওপর বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে একটি ট্রেনিং প্রোগ্রাম। অনলাইন ফ্লাটফর্মে হওয়া এই ট্রেনিং প্রোগ্রামে বাফুফে ও ইউনিসেফের কর্মকর্তারা ছাড়াও অংশ নিয়েছেন বাফুফে ক্যাম্পের নারী ফুটবলাররা, নারী দলের কোচিং স্টাফ ও গ্রাসরুট পর্যায়ের আরো অনেক কোচ।

বাফুফের মহিলা উইংয়ের চেয়ারপার্সন ফিফার কাউন্সিল মেম্বার এবং এএফসি ও বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেছেন, ‘আমরা বেশ কিছুদিন ধরে দেখতে পাচ্ছি যে, দেশে বাল্যবিবাহ বেড়ে গেছে। এটা নিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ও বাফুফে উদ্বিগ্ন ছিলাম। সে প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ও ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে আজ (বুধবার) অনুষ্ঠিত হয় চাইল্ড ম্যারেজ প্রটেকশন ট্রেনিং প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে দেশের আঞ্চলিক পর্যায়ের ফুটবল কোচ এবং নারী ফুটবল দল ও কোচগন।’

এই প্রোগ্রামে মেয়েদের বাল্যবিবাহ ঠেকানোর কৌশল শেখানো হয়েছে উল্লেখ করে মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেছেন, ‘যেখানে মেয়েদের ফুটবল ট্রেনিং হয়ে থাকে, সেখানকার মেয়েদের বাল্যবিবাহ প্রটেক্ট করার বিষয়টি কিভাবে করা যায় তা শেখাবেন নারী ফুটবলাররা। বাল্যবিবাহে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি ফুটবলে কিভাবে ক্যারিয়ার গড়ে তোলা যায় সে বিষয়ে কিশোরীদের উদ্ভূদ্ধকরণের বিষয়টি শেখানো হয়েছে এই ট্রেনিং প্রোগ্রামে।’

নারী ফুটবলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, ‘এই ট্রেনিং প্রোগ্রামে আমাদের ক্যাম্পের ৪৫ জনের মতো মেয়ে অংশ নেন। পাশাপাশি আমাদের কোচিং স্টাফের সবাই এবং বাফুফের গোলরক্ষক কোচ বিপ্লব ভট্টাচার্য্যসহ আরো কয়েজন কোচ অংশ নেন। করোনার কারণে মাঠে খেলা না থাকলেও বাফুফে মেয়েদের ক্যাম্পে রেখে খাওয়াচ্ছে, ট্রেনিং করাচ্ছে। যে কারণে, ক্যাম্পের ফুটবলারদের মধ্যে বাল্যবিবাহ নেই। তবে বিচ্ছিন্নভাবে বাল্যবিবাহ হয়ে থাকে। সেগুলো কিভাবে ঠেকানো যায় তা নিয়ে ছিল বাফুফে ও ইউনিসেফের এই ট্রেনিং প্রোগ্রাম।’

বাল্যবিবাহের কারণে ফুটবলের অনেক প্রতিভা হারিয়ে যায় উল্লেখ করে নারী দলের প্রধান কোচ বলেন, ‘২০১৪ সালে প্ল্যান ফুটবল থেকে বাছাই করা দুইজন গোলরক্ষক এভাবে বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছিলেন। পরের বছর অনূর্ধ্ব-১৬ দলের জন্য রংপুরের রাশেদা ও নীলফামারীর আইরিনকে ডাকার জন্য খোঁজ নিয়ে জানা গেলো তাদের বিযে হয়ে গেছে।’

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent