নারী এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২০২৩ সালে শুরু

২০২৩ সাল থেকে প্রথমবারের মতো মাঠে গড়াচ্ছে নারীদের এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। এশিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা এএফসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এশিয়ান অঞ্চলে নারীদের ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাবার লক্ষ্যে নতুনভাবে আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক ক্লাব টুর্নামেন্ট বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে এএফসি আশাবাদী।

২০১১ সালে নারীদের বিশ্বকাপ জয় করেছিল জাপান। এশিয়ায় জাপান ছাড়াও নারীদের ফুটবলে পরাশক্তি হিসেবে নিজেদের ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত করেছেন অস্ট্রেলিয়া ও চায়না। কিন্তু ইউরোপীয় ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এশিয়ান দেশগুলোর নারীদের ক্লাব ফুটবল মোটেই জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারেনি।

২০১৯ সালে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ বিশ্বকাপে কোন এশিয়ান দলই কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি। ১৯৯১ সালের পর এই প্রথমবারের মতো এশিয়ান নারীরা শেষ আটের আগেই বিদায় নিয়েছিল।

কিন্তু এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন দুই বছর অন্তর অন্তর নারীদের এই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আয়োজনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এএফসি’র নারী ফুটবলের প্রধান বাই লিলি এ সম্পর্কে বলেছেন, ‘এটা অবশ্যই এই অঞ্চলের নারী ফুটবলকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা যদি ক্লাব প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে পারি এর অর্থ হচ্ছে প্রতিটি খেলোয়াড়কে ক্লাবের লাইসেন্স প্রাপ্ত হতে হবে। লিগগুলোকে ভাল একটি কাঠামোর মধ্যে আনাটাও জরুরী। এটা অবশ্য ঘরোয়া লিগকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য সহযোগিতা করবে। একইসাথে জাতীয় দলের বাইরের খেলোয়াড়রা এর মাধ্যমে উপরে উঠে আসবে।’

বাই লিলি ২০০৪ সালে এথেন্স অলিম্পিকে চায়নার জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছিলেন।
ইতোমধ্যেই নারীদের ক্লাব ফুটবল নিয়ে কাজ শুরু করেছে এএফসি। ২০১৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথমবারের মতো আয়োজিত নারী ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে অস্ট্রেলিয়া, চায়না, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার থেকে চারটি ক্লাব দল অংশ নিয়েছিল। এর দ্বিতীয় আসর এ বছর ও তৃতীয়টি ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। এরপরপরই অনুষ্ঠিত হবে নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।

বাই জানিয়েছেন টুর্নামেন্টের বিস্তারিত নিয়ে কাজ শুরু হয়ে গেছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম আসরে কতটি দল অংশ নিবে কিংবা এর ফর্মেটই বা কি হবে সে ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।

পুরুষ বিভাগে এ বছর ৪০টি দল অংশ নিচ্ছে। গ্রুপ পর্ব শেষে নক আউটপর্ব পূর্ব ও পশ্চিম জোনে বিভক্ত হয়ে অনুষ্ঠিত হবে। দুই জোনের বিজয়ীদের নিয়ে ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

নারীদের এশিয়ান কাপে প্রতিটি দেশের জাতীয় দল প্রতি চার বছর অন্তর অংশ নিয়ে থাকে। কিন্তু বাই আশাবাদী বড় একটি ক্লাব প্রতিযোগিতা কার্যত প্রতিটি দেশের জাতীয় দলকেই সহযোগিতা করবে।

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent