কলকাতা ডার্বি জিতলো মোহনবাগান


ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (আইএসএল) ফিরতি পর্বেও ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়েছে মোহনবাগান। শুক্রবার গোয়ার জহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গলকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে মোহনবাগান।

জয়ের ফলে ১৮ ম্যাচে ৩৯ নিয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল মোহনবাগান। এক ম্যাচ বেশি খেলে মুম্বাই সিটি এফসি’র থেকে পাঁচ পয়েন্টে এগিয়ে গেল তারা। অন্যদিকে ১৮ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট এসসি ইস্টবেঙ্গল থাকল নয়েই।

ডার্বিতে জ্বলে ওঠা যেন অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন ফিজির তারকা। প্রথম ডার্বিতে প্রথম গোল করেছিলেন তিনিই। শুক্রবারও সেই ধারাই বজায় থাকল। শুরু থেকেই এসসি ইস্টবেঙ্গলকে চাপে রেখেছিল মোহনবাগান। মনবীর সিংহের সঙ্গে জুটি বেধে দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ এসেছিল কৃষ্ণের সামনে। কিন্তু অল্পের জন্য সেই সুযোগ নষ্ট হয়।

নিজের কাজ করতে বেশি সময় নেননি ফিজির স্ট্রাইকার। ১৫ মিনিটের মাথায় নিজেদের বক্স থেকে লম্বা বল বাড়ান তিরি। লাল-হলুদের রক্ষণে তখন সবাই অনুপস্থিত! কৃষ্ণ কার্যত একাই ছিলেন। গতিতে বাকিদের পিছনে ফেলে এবং অনায়াসে সুব্রত পালকে কাটিয়ে বল গোলে ঠেলে দেন তিনি।

ফাওলারের ছকে যে গলদ রয়েছে, সেটা ম্যাচ চলাকালীনই বুঝতে পেরেছিলেন হাবাস। দুই উইংকে আরও বেশি সক্রিয় করে দিয়েছিলেন। এদিন অফ ফর্মে থাকা মার্সেলিনহোকে আরও একটু নিচে নামিয়ে সামনে এগিয়ে দেন ডেভিড উইলিয়ামসকে। দ্বিতীয় গোল এল সে ভাবেই। কৃষ্ণর হেড সুব্রতর হাতে জমা পড়ার পর তিনি তা পাস দেন ফক্সকে। ফক্স আর এক সতীর্থকে পাস দেওয়ার আগেই তা কেড়ে নেন কৃষ্ণ। দ্রুত বাঁ দিকে থাকা উইলিয়ামসকে পাস দেন। জোরালো নিচু শটে দলকে এগিয়ে দেন উইলিয়ামস।

তৃতীয় গোলের পিছনেও দায়ী লাল-হলুদ রক্ষণ। বল ধরে কর্নারের কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন কৃষ্ণ। সে সময় তাঁকে জায়গা দিয়ে ক্রস করার সুযোগ দেন নারায়ণ। বক্সে লাফিয়ে উঠে জোরালো হেডে তৃতীয় গোল করেন হাভি।

ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে একমাত্র চোখে পড়ল ব্রাইট এনোবাখারেকে। বেশ কিছুচোখে পড়ার মতো মুভ তৈরি করেও তিনি সেই একই ভুল করছিলেন। বল বেশিক্ষণ পায়ে ধরে রাখছিলেন। ফলে কোণ ছোট করে এনে ব্রাইটকে পায়ের জালে জড়িয়ে ফেলতে সময় লাগছিল না সবুজ-মেরুন ডিফেন্ডারদের।

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent