মেসির সুবাদে বার্সার রক্ষা

লা লিগায় তলানির দল হুয়েসকার বিপক্ষেও জিততে কষ্ট হয়েছে বার্সেলোনার। আর কষ্টার্জিত এ জয়ে আবারো দলের প্রাণভোমরা লিওনেল মেসির ওপরই ভরসা করতে হয়েছে কাতালান জায়ান্টদের। ২৭ মিনিটে মেসির এসিস্টে ফ্রেংকি ডি জং জয়সূচক গোল করেন। এদিকে লুইস সুয়ারেজের শেষ মুহূর্তের গোলে আলাভেসকে ২-১ গোলে পরাজিত করে একদিন পরেই টেবিলের শীর্ষে ফিরেছে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ।

প্রথম বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে লা লিগায় ৫০০তম ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসি। গোঁড়ালির ইনজুরির কারণে ২০২০ সালের শেষ ম্যাচটি মিস করার পর গতকাল আবারো স্বরুপে ফিরে বার্সাকে জয় উপহার দিয়েছেন এলএম টেন।

এ নিয়ে টানা চারটি অ্যাওয়ে জয় তুলে নিলেও রোনাল্ড কোম্যানের দল এ্যাথলেটিকোর থেকে ১০ পয়েন্ট পিছিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানেই রয়েছে। ম্যাচ শেষে কোম্যান বলেছেন, ‘সার্বিকভাবে বলা যায় শেষ ২০ মিনিট আমরা ভাল খেলেছি। আমরা বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিলাম। কিন্তু এ ধরনের প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কার্যত অনেক কিছুই একটা সময় কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে অতি রক্ষণাত্মক কৌশলের বিপরীতে নিজেদের মানিয়ে নেয়াটা মোটেই সহজ নয়। আমরা একটি দারুণ গোল পেয়েছি। এছাড়া দুই থেকে তিনটি সহজ সুযোগ নষ্টও করেছি।’

পুরো ম্যাচেই অবশ্য বার্সারই আধিপত্য ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বেশ কিছু সুযোগও তৈরি হয়েছে। কিন্তু হুয়েসকার গোলরক্ষক আলভারো ফার্নান্দেজের দুর্দান্ত কিছু সেভে স্বাগতিকরা বড় বিপদে পড়েনি। মেসির ক্রস থেকে ডি জংয়ের প্রথম গোলের পরপরই ফার্নান্দেজ নিজেকে বেশ কয়েকবার প্রমাণ করেছেন। বিরতির ঠিক আগে মেসির অসাধারণ একটি ফ্রি-কিক কর্ণারের বিনিময়ে রক্ষা করেন ফার্নান্দেজ।

দ্বিতীয়ার্ধে আবারো মেসির একটি প্রচেষ্টা কোনোমতে পা দিয়ে রুখে দেন ফার্নান্দেজ। এরপরপরই রাফা মিরের একটি ব্যাক-হিল শট আটকাতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হয়েছে বার্সা গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগানকে।

এবারের মৌসুমে এ নিয়ে ১৭ ম্যাচে মাত্র একটি জয় পেয়েছে হুয়েসকা। কিন্তু ঘরের মাঠ এস্তাদিও এল আলকোরাজে বেশিরভাগ অতিথিদের বিপক্ষে এক পয়েন্ট আদায় করে নিয়েছে। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরে অ্যাথলেটিকোর মাদ্রিদের সাথে গোল শূন্য ড্র করেছিল।

এর আগে দিনের শুরুতে ৯০ মিনিটে সুয়ারেজের গোলে ১০জনের আলাভেসকে ২-১ গোলে পরাজিত করে রিয়াল মাদ্রিদকে টপকে একদিনের মধ্যেই আবারো টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করেছে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। মার্কোস লোরেন্টের গোলে ৪১ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল অ্যাথলেটিকো। ৬৩ মিনিটে ফ্রেঞ্চম্যান থমাস লেমারকে ফাউলের অপরাধে ভিএআর এর সিদ্ধান্তে মাঠত্যাগে বাধ্য হন আলাভেস ডিফেন্ডার ভিক্টর লাগারডিয়া। এরপরই ম্যাচের নিয়ন্ত্রন চলে আসে দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যদের হাতে। আলাভেসের ফরাসি ডিফেন্ডার ফ্লোরিয়ান লিউইনের হেড পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ৮৪ মিনিটে অ্যাথলেটিকো ব্রাজিলিয়ান সেন্টার-ব্যাক ফিলিপের আত্মঘাতি গোলে সমতায় ফিরে আলাভেস। যদিও ম্যাচের নাটকীয়তা তখনো বাকি ছিল। শেষ মিনিটে বদলী খেলোয়াড় হুয়াও ফেলিক্সের সহায়তায় পোস্টের খুব কাছে থেকে বল জালে জড়ান উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার সুয়ারেজ।

ম্যাচ শেষে সিমিওনে বলেছেন, ‘আজকের ম্যাচের সবচেয়ে সেরা দিক হলো শেষ পর্যন্ত সকলে ম্যাচটা ধরে রেখেছিল, নার্ভাস হয়নি। শুধুমাত্র খেলা চালিয়ে গেছে। গোলটি ছিল দুর্দান্ত।’ এ জয়ে রিয়ালকে দুই পয়েন্ট পিছনে ফেলে শীর্ষস্থানে উঠে এল অ্যাথলেটিকো। যদিও বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাথলেটিকোর থেকে দুই ম্যাচ বেশি খেলেছে।

দিনের অপর ম্যাচগুলোতে অ্যাথলেটিকো বিলবার ১-০ গোলে এলচেকে, এইবার ২-০ গোলে গ্রানাডাকে পরাজিত করেছে। ধুকতে থাকা ওসাসুনার সাথে ১-১ গোলে ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছে তৃতীয় স্থানে থাকা রিয়াল সোসিয়েদাদ।

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent